চাঁদপুর : চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, যেসব দপ্তরগুলো থেকে জনগণকে সেবা দেয়া হয়, সেসব জায়গাতে ভালোভাবে কাজ করতে হবে। আমরা চাই না কোন সংবাদমাধ্যমে আমাদের নিয়ে খারাপ সংবাদ হোক। যেসব দপ্তরগুলো অনিয়ম রয়েছে সেসব অনিয়ম থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা একটা টিম হিসেবে চাঁদপুরে কাজ করবো। নিজের দপ্তরগুলোতে সুশাসন চালু করতে হবে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের ৮ উপজেলাতে যেসব খালগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়, সেসব খাল যদি দখল হয়ে থাকে তা দখলমুক্ত করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে চাঁদপুরের কোন বাজারে ব্যবহারের পলিথিন থাকবে না। বাজার নিয়ন্ত্রনে আমরা প্রায় প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছি। কিছু নিয়ন্ত্রনে আসলেও আস্তে আস্তে আমরা আরো নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে পারবো।
জেলা প্রশাসক জেলা পরিষদের কার্যক্রম প্রসঙ্গে বলেন, জেলা পরিষদের বেশ কিছু জায়গা রয়েছে অবৈধ দখলে। এখন সুযোগ রয়েছে অবৈধ ভাবে দখলকৃত জায়গাগুলো মূক্ত করার। সেসব জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, যেসব প্রকল্পগুলোর বিল দেওয়া হবে, তার পূর্বে সেসব প্রকল্পের কাজ গুলো শতভাগ হয়েছে কিনা তা দেখে বিল দিতে হবে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রসঙ্গে বলেন, ডেঙ্গু প্রকোপ যেন না বাড়ে সেজন্যে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা থাকলে তা অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিতে হবে।
পৌরসভার প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পৌরসভা নাগরিক সেবা দেয়। নাগরিক সেবা যেন কোনরকম বিঘ্নিত না হয়। ডাম্পিং স্টেশন না থাকলে যত্রতত্র নোংরা হবে। এক্ষেত্রে আপনারা সবাই মিলে ডাম্পিং স্টেশন করার জন্যে উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেন।
সড়ক বিভাগ নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সড়কে অনেক রাস্তা অবৈধ দখলে আছে। এখনই সুযোগ সেসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মতলব থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত সড়কটিকে ভালোভাবে করতে হবে। চাঁদপুর থেকে ঢাকা আরেকটি বিকল্প বাইপাস সড়ক বের করা যায় কিনা তা দেখতে হবে।
শারদীয় দুর্গাপূজার মধ্যে বিদ্যুৎ এর সহযোগিতা জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, দাবী আদায় করা যাবে কিন্তু জনগণের ভোগান্তি করা যাবে না। সারাদেশের কিছু কিছু জায়গায় যে অপ্রত্যাশিত একটা ঘটনা ঘটলেও চাঁদপুর জেলাতে সে ঘটনা ঘটনি তার জন্যেও ধন্যবাদ জানান জেলা প্রশাসক।
ডিসি আরো বলেন, আমরা চাই জনগণ যে পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে সে পরিমানই বিল আসবে। বেশি বা কম যেন বিদ্যুৎ বিল না আসে। আমরা কোনরকম অনিয়মের কথা শুনতে চাই না।
ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, আগামী সময়ে নৌ-পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশেরও সহায়তা প্রয়োজন। আগামী দিনগুলোতেও ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও পৌরসভার প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান, এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবির, জেলা মৎস কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান প্রমূখ।
ফম/এস.পলাশ/এমএমএ/