জানা গেছে, ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ ফাহাদ মির্জা, আবেদ শাহ, বিজয় চন্দ্র শীল ও তন্না রায় এনটিআরসি কর্তৃক প্রকাশিত ৫ম গণ-বিজ্ঞপ্তিতে হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তারা যোগদানের কাজ সম্পন্ন করার উদ্দ্যেশ্যে গত ২৫ আগস্ট, রোববার বিদ্যালয়ে আসেন।
ওই সময়ে যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এবং তাদের পক্ষে যোগদানকৃত শিক্ষকদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টিমুখের মাধ্যমে বরণ করে নেন প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র দাশ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল আহসান পাটোয়ারী। যার ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়।
এরপর কে বা কারা ফেসবুক থেকে নব যোগদানকৃত সহকারী শিক্ষক তন্না রায়কে মিষ্টিমুখ করানো ছবিটি ডাউনলোড করে এবং প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র দাশকে উদ্দেশ্যে করে ওই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে মানহানিকর বিভ্রান্ত ছড়ায়। অথচ ওই অনুষ্ঠানে চারজন শিক্ষককেই মিষ্টিমুখ করান প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ও এলাকার মাঝে সমালোচনার সৃষ্টি হয় এবং তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর ফেসবুক পোস্টের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য, শিক্ষক, প্রাক্তন ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
এর মধ্যে স্থানীয় বিল্লাল হোসেন, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল মান্নান ও মো সেলিম হোসেন জানান, যারা এসব কাজ (ফেসবুক পোস্ট) করেছে, তারা ঠিক করে নাই। এলাকাবাসী হিসেবে আমরা স্যারকে চিনি ও জানি। আমরা আশাকরি, কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। সবার সহযোগিতায় এবং স্যারের নেতৃত্বে বিদ্যালয়টি এগিয়ে যাবে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থী ও হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী মৃদুল, মিনহাজ, নাসিম ও সাইমন বলেন, স্যারের (প্রধান শিক্ষক) বিরুদ্ধে এমন পোস্ট মেনে নেওয়া যায়না। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমাদের শিক্ষাগুরু স্যারের সাথে আমরা আছি এবং থাকবো।
যোগদানকৃত শিক্ষক ফাহাদ মির্জা, আবেদ শাহ, বিজয় চন্দ্র শীল ও তন্না রায়ের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এনটিআরসি কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ে যোগদানের উদ্দেশ্যে আসার পর প্রধান শিক্ষক স্যার আমাদের আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছেন এবং যোগদানের সকল প্রক্রিয়া খুব সহজেই সম্পন্ন করেছেন।
তারা আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক স্যার আমাদের পিতৃতুল্য। স্যারদের আন্তরিকতা আমরা মুগ্ধ। যে বা যারা প্রধান শিক্ষক স্যারকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর মন্তব্য উপস্থাপন করে পোস্ট দিয়েছে, তারা কাজটি ঠিক করেন নি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র দাশ বলেন, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে যোগদানকৃত চারজন শিক্ষককে মিষ্টিমুখ করে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। যোগদানের অনুষ্ঠানটি স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য মিষ্টিমুখের ছবি তোলা হয় এবং ওই ছবিগুলো ফেসবুকে পোস্ট করা হয়।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কে বা কারা ফেসবুক থেকে ছবিগুলো ডাউনলোড করে এবং এই চারজন শিক্ষকের মধ্যে একজন নারী শিক্ষককে ছবি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে নেতিবাচক পোস্ট করে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি আশাকরি, যারা এ কাজটি করেছেন। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।