রবিবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগ্রহীত।

পিরোজপুরসহ ২১ জেলার যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন মাইল ফলক ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু’  রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর ফলে সরাসরি নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে ঢাকার সঙ্গে বরিশাল-খুলনা-মোংলা পোর্ট ও সুন্দরবনসহ দক্ষিণের ২১ জেলার কোটি কোটি মানুষের মধ্যে। সেই সঙ্গে আমূল পরিবর্তন আসবে আর্থ-সামাজিক ও বানিজ্যিকসহ বহূবিধ ক্ষেত্রে। ইতোমধ্যে সেতুর সকল কাজ এবং আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ায় পর উদ্বেধনের অপেক্ষায় সেতুটি।

আজ শনিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম এমপি, সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমানসহ সড়ক বিভিাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন সেতু এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অন্তত ১০ হাজার লোকের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী সেতুর ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরিদর্শনকালে পিরোজপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুটির শুভ উদ্বোধন করবেন। এসময় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আনন্দ উপভোগ করবেন এবং সমস্ত এলাকায় আনন্দের জোয়ার বয়ে যাবে।

তিনি বলেন, এই সেতুটি উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে পদ্মার এপাড়ের ২১ জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগে আর কোনো বাধা থাকবে না। যার ফলে আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যপক উন্নয়ন হবে। ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার হবে।

কচাঁ সেতু প্রকল্পের ব্যাবস্থাপক (পিএম) পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সাবেক) নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কচাঁ নদীর ওপর সেতু নির্মানের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে সেতুর আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্তের এই সেতুতে ৯টি স্প্যান ও ১০টি পিলারসহ যাবতীয় কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

নান্দনিক এ সেতুটি নির্মাণে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮৯ কোটি টাকা। তন্মধ্যে ৬৫৪ কোটি গ্রান্ড অনুদান দিয়েছে চীনা সরকার। আর বাকি ২৪৪ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ৪২৯ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪২৭ মিটার এবং প্রস্ত ১০ দশমিক ২৫ মিটার (ডবল লেন)।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, এই সেতু মাধ্যমে পুরো দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। মানুষের যে কোনো কর্মস্থলে কম সময়ের পৌঁছাতে পারবে এবং কর্মস্থল থেকে নিরাপদে ফিরে আসতে পারবে।

উল্লেখ্য, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সেতু নির্মাণ শেষে ৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র উপস্থিতিতে ঢাকায় চীনা দুতাবাসের ইকনোমি মিনিস্টার বাংলাদেশর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির হস্থান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেন।-খবর দৈনিক জনকন্ঠ অনলাইন।

ফম/এমএমএ/

ফোকাস মোহনা.কম