প্রেমের স্বীকৃতি না পেয়ে থানায় জিডি

শান্ত খান। ছবি: সংগ্রহীত।

চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বড় শাহতলী গ্রামে প্রেমে স্বীকৃতি না দেয়া, বিয়ে করতে অস্বীকৃতি এবং নানা হুমকি-ধামকির পরিপ্রেক্ষিতে প্রেমিক শান্ত খানের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছে প্রেমিকা শারমিন আক্তার।

শাহতলী এলাকার বাসিন্দা মো: আব্দুল হক পাটওয়ারীর মেয়ে শারমিন আক্তার বাদী হয়ে এই জিডি এন্টি করেছেন। যার জিডি নং-১৩১৭, তারিখ: ২১ মে। জিডিতে বিবাদী করা করা হয় মো: শান্ত খান (২৬), পিতা-মো: লোকমান খান, মো: লোকমান খান (৫৫), পিতা-অজ্ঞাত, সর্ব সাং-বড় শাহতলী, উপজেলা: চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, উল্লেখিত ১নং বিবাদীর সাথে আমার (বাদীর) বিগত প্রায় ৭বছর যাবৎ প্রেম বিষয়ক সম্পর্ক রয়েছে। পরবর্তীতে গত ২০ মে বিকাল আনুমানিক ৪ঘটিকার সময় আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য ১নং বিবাদীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অধিকার আদায়ের দাবি জানালে ১নং ও ২নং বিবাদী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যা ও প্রাননাশের হুমকি দিয়ে থাকে। বর্তমানে আমি শারিরীক ও মানসিকভাবে হয়রানি হয়ে আসছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

শাহতলী গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ি মেয়ে শারমিন আক্তার এ প্রতিবেদককে জানান, দীঘদিন যাবত শাহতলীর এলাকার যুবক মো: শান্ত খানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। পরবতীতে সে আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিলেও এখন নানা তালবাহানা করছে। প্রেমের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে সে। সে প্রতারনার আশ্রয় নিচ্ছে। আমাকে বিয়ে না করলে আমি লাইফের জন্য সে ও তার পরিবারকে দায়ী থাকবে। শারমিন আরো অভিযোগ করে বলেন, নানা জায়গায় থেকে বিভিন্ন লোক দিয়ে শান্ত খানের পরিবার চাপ দিচ্ছি। টাকা নিয়ে বিষয়টি সমাধান করতে। সেই সাথে তার পরিবারের লোকজনকে নানা ভাবে হয়রানি করছে।

এমতাবস্থায় আমি তার এ রকম কাজকর্ম দেখে নিরুপায় হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একখানা সাধারণ ডায়রী করিতে বাধ্য হই।

জানা গেছে, শান্ত খান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসের নিচে ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখার দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে আসামী প্রেমিক শান্ত খান পালিয়ে বেড়াচ্ছে ।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই কুদ্দুস জানান, জিডি হওয়ার পর পরই আমি ২১ মে শাহতলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। বাদী শারমিন আক্তারের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। ফেসবুক মেসেঞ্জারে শান্ত খান ও শারমিনের সম্পর্কের অনেক বার্তা আদান-প্রদানের তথ্য রয়েছে। স্বাক্ষী-প্রমানও রয়েছে। এখন আসামী শান্ত খানকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। শারমিন আক্তারের স্বীকৃতির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। পারিবারিকভাবে সমাধান করতে পারে। তারপরও যেহেতু থানায় অভিযোগ পেয়েছি, তাই পক্ষদের ডেকে সমাধানের উদ্যোগ নিবো। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘটনাটি প্রেমিকা শারমিন আক্তার চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা শাহনাজকেও অবহিত করেছেন।

ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম