চাঁদপুর: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার সোনার মানুষ চেয়ে ছিলেন, সেই সোনার মানুষ গড়তে হলে এবং তার কন্যা যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্তম্ভু গুলো চারটি স্তম্ভর অন্যতম স্মার্ট নাগরিক। সেই স্মার্ট নাগরিক গড়তে হলে আমাদের সংস্কৃতির কোন বিকল্প নেই।
শুক্রবার (৫ জুলাই) দিনগত রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনয়তনে জয়ধ্বনি সংগীত বিদ্যায়তনে একযুগ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যেমন আমাদের সন্তানদেরকে পড়াশোনা শিখাবো, এবং সেই পড়াশোনাটা হতে হবে আনন্দময় এবং সেটি হবে তার সৃজনশীলতাকে আরো বিকশিত করবার একটি মাধ্যম। আমাদের যেই প্রচলিত এই গোপনীয় বেশি শিক্ষা ব্যবস্থা সেটি হচ্ছে আমাদের মানুষের সেই সহ জাত সেই সৃজনশীলতা, তাকে একেবারে গলা টিপে মেরে ফেলার একটা শিক্ষা ব্যবস্থা। তাকে আমল পাল্টে ফেলে একটা সৃজনশীলতাকে আরও বিকশিত করবার জন্য মানুষের যে নিজস্বতা রয়েছে, যে স্বকীয়তা রয়েছে তাকে পরিস্ফুটিত করবার জন্য, তাকে সত্যিকারের মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবার জন্য একটা উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা। সেটা আমরা তৈরি করার চেষ্টা করছি গত পাঁচ বছর ধরে। এখনো সেটির কাজ চলছে – চলমান আছে। যে শিক্ষার মধ্যেই আমরা মনে করছি সংস্কৃতি ও ক্রিড়া তার একেবারে অপরিহার্য অংশ। কাজেই আমাদের সন্তানেরা সত্যিকার অর্থে শরীর মনে আত্মায় বিকশিত হবে এবং তারা সত্যিকার অর্থে সোনার মানুষ হবে। স্মার্ট নাগরিক হবে। গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ। পিতা মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবার জন্য শুধু সরকার একা কাজ করলে কোনভাবেই তা হবে না। সেখানে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে
সংগঠনের সভাপতি মনিরা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গবেষক প্রবন্ধকার ও সাহিত্যিক সরকার আব্দুল মান্নান, একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তি শিল্পী রুপা চক্রবর্তী, সংগঠনের অধ্যক্ষ বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সুদীপ কর প্রমুখ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিন আরাফাত।
অনুষ্ঠানের চাঁদপুরের পাঁচ জন সংগীত ওস্তাদকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জয়ধ্বনি সংগীত বিদ্যায়তনের শিল্পীরা অংশ নেয়।
ফম/এমএমএ/