চাঁদপুর: চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, সাবেক ছাত্রনেতা, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা খান সফরী বলেছেন, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে গর্বিত। কারণ আমি ছাত্র জীবনে জনগণের একজন সেবক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে এমন একজন নেতার আর্দশকে লালন করে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেছি, সেই নেতা হচ্ছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। যিনি দেশ ও জনগণের চিন্তা করে দিশেহারা জাতি কে সঠিক নির্দশনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়ে নিজে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। আমার নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সারা বিশ্বে আজো ইতিহাসের পাতায় একজন বিরল দেশপ্রেমিক রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে আজো বিরল হয়ে আছেন।
রোববার (১৯জানুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩নং কল্যাণপুর ইউনিয়নের ডাসাদী মাদ্রাসা মাঠে স্হানীয় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবন ও জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী গাজীর সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ খানের পরিচালনায় উক্ত জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউস শাহাদাত ওয়াসিম পাটোয়ারী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্র নেতা অ্যাডঃ আশরাফুল ইসলাম আশু,ঢাকা মহানগরের তেজগাঁও থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আজাদ খান আরজু, জেলা জাসাসের সাবেক আহবায়ক এমদাদুল হক মিলন, জেলা যুবদলের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আবু আহমেদ, বিএনপি নেতা প্রফেসর নজরুল ইসলাম, কল্যানপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সাবেক ছাত্র নেতা মনিরুজ্জামান মনির, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
জনসভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত করেন মাওঃ সোলায়মান হোসেন।
উক্ত জনসভায় প্রধান অতিথর বক্তব্যে, চাঁদপুর-৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তফা খান সফরী আরো বলেন, জিয়াউর রহমান হলেন একজন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভোমত্বের প্রতীক, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে গণতন্ত্রের নানান মোড়ক থাকলে ও সত্যি কারের বহুদলীয় গণতন্ত্র জিয়াউর রহমান প্রবর্তন করেছেন।
তিনি বলেন, বাকশাল পরবর্তী আজকের যে আওয়ামী লীগ এটাও তার দয়ায় পুনঃ জন্ম লাভ করেছেন, বাংলাদেশ যে সত্যিকারের স্বাধীন এবং সার্বভোমত্ব উদার এবং মুসলিম রাষ্ট্র হিসিেবে পরিচিতি লাভ করেছে তাও জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে হয়েছে।
তিনি বলেন মধ্যপাচ্যের ইকার ইরান যুদ্ধ মধ্যস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। সে সময় জাপানের মত শক্তিশালী রাষ্ট্রকে হারিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জাপানের মত শক্তিশালী রাষ্ট্রকে হারিয়ে সভাপতির আসন লাভ করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আজকের মুল চালিকা শক্তি গার্মেন্টস খাত, জনশক্তি রপ্তানি ও মানব সম্পদ উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান । দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনিই এক মাত্র ব্যাক্তি যিনি ১৯৭১ সালে চট্রগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে নিজেও সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে, স্বাধীনতার লাল সূর্য আমাদেরকে এনে দিয়েছেন। আজকে তার ৮৯ তম জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি, তার মত দেশ প্রমিক রাষ্ট্র নায়ক পৃথিবিতে বিরল, আমরা তার উত্তরসূরী আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের নের্তৃত্বে ৩১ দফার ভিত্তিতে শহীদ জিয়ার স্বপ্নের স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে থাকবো, এটি আমাদের আঙ্গিকার।
জনসভায় এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মন্টু খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান হাছানাত, সাবেক ছাত্র নেতা বশির পারভেজ, কল্যাণপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পলাশ কাজী, সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আকাশ খান জিতু, জেলা ছাত্রদল নেতা সুকুমার রায়, মেহেদী হাসান জনি প্রমুখ।
জনসভায় বিপুল সংখ্যক নারীদের উপস্থিতি সকলের নজর কাড়ে।
ফম/এমএমএ/