পাঁচশত ১২ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে আয় ২ রুপি

দুর্ভাগ্য মনে হয় একেই বলে। একটু বেশি লাভের আশায় ৫১২ কেজি পেঁয়াজ নিয়ে নিজের গ্রাম থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে গিয়েছিলেন এক কৃষক। কিন্তু আয় হলো কত? মাত্র এক রুপি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যিই।

ভারতের মহারাষ্ট্রে নিজের গ্রাম থেকে সোলাপুর পৌঁছান ৫৮ বছরের কৃষক রাজেন্দ্র তুকারাম চাভন। ঠিক করেছিলেন সোলাপুরের এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেট কমিটিতে (এপিএমসি) পেঁয়াজ বেচে খানিক আয় করবেন। কিন্তু বহু চেষ্টার পর প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম পেলেন এক রুপি। কিন্তু শেষমেশ ৫১২ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে তার হাতে আসে ২ দশমিক ৪৯ রুপি।

তুকারাম জানান, পেঁয়াজ পরিবহন এবং মাল নামানোর পেছনে কিছু খরচ হয়েছিল। তাই ৫১২ কেজি পেঁয়াজ বিক্রির পর ৫০৯ দশমিক ৫ রুপি কেটে নেয় এপিএমসি। বাকি দুই রুপি তাকে দেওয়া হয়। ৪৯ পয়সার উল্লেখ সেখানে ছিল না। কারণ ব্যাংক ওই খুচরা দিতে পারবে না।

এখানেই হতাশার শেষ নয়। তুকারাম জানান, যে দুই রুপির চেক তিনি হাতে পেয়েছেন, তা ব্যাংকে জমা দিয়ে নগদ পেতে অন্তত ১৫ দিন সময় লাগবে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বৃদ্ধ কৃষক বলেন, বর্তমানে বীজ থেকে সার- সবকিছুরই দাম বেড়েছে। প্রায় ৪০ হাজার রুপি খরচ করে পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন তিনি। গত বছর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ রুপিতে বিক্রি করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর লাভের মুখ দেখা হলো না। তার দাবি, এবার ফলন বেশি হওয়ার কারণেই পাইকারি মূল্য কমেছে।

এর আগেও কৃষকদের দুর্দশার কথা উঠে এসেছে শিরোনামে। গত বছরই ২০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে মাত্র সাড়ে আট রুপি আয় হয়েছিল এক কৃষকের। এবার মহারাষ্ট্রের বৃদ্ধ তুকারাম ডুবলেন হতাশায়।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

ফোকাস মোহনা.কম