ঘুষ তদবির ছাড়াই চাঁদপুরে ৯৩ জনের পুলিশে চাকরী

চাঁদপুর: চাকুরি নয়, সেবা এই স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের সার্বিক তত্বাবধায়নে এ বছর চাঁদপুরে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। সাধারন কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, পোষ্য কোটা, এতিম কোটা, আনসার কোটা, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী (পুরুষ ও নারী) কোটায় ৩ হাজার ২৬ জন আবেদন করেন।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পুরুষ ৭৯ জন ও নারী পদে ১৪ জনসহ মোট ৯৩ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করেন পুলিশ।

ট্রেন দুর্ঘটনায় পা হারানো তাফাজ্জ্বল। এক পায়ে ভর করে কৃষি কাজকে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। সংসারে চার ছেলে। সবাই কৃষিকাজে নির্ভর। এক মেয়ে জান্নাত। সে পড়াশোনা করছে ডিগ্রিতে। পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে স্বপ্ন দেখা শুরু করেন জান্নাত। সেই স্বপ্ন তার পূরণ হয়েছে। গেলো বৃহস্পতিবার মৌখিক পরীক্ষায় সে প্রথম স্থান অধিকার করে উত্তীর্ণ হয়। দিনশেষে সন্ধ্যায় চাঁদপুর পুলিশ লাইনসে জান্নাত ও তার বাবা তাফাজ্জলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ পিপিএম।

ওই অনুষ্ঠানে শুধু জান্নাতকে নয়, আরো ৯২ জনকে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত করেন জেলা পুলিশ বিভাগ। সবাইকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এতে খুশি পুলিশে চাকরী হওয়া তরুণেরা।

ঘুষ বা তদবির ছাড়া চাকরী পাওয়ায় পুলিশ বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিভাবকেরা।

পুলিশ সুপার হিসেবে টানা তিনবার নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে শেষ করেছেন বলে জানান পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।

পুলিশের চাকরিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হওয়া ৯৩ জনকে বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ লাইনসের মিলনায়তনে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায়, সদর সার্কেল ইয়াসির আরাফাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি রায়সহ পুলিশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ।
ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম