
চাঁদপুর : চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেছেন, ব্র্যান্ডিং, মানুষের চাহিদা, ক্রয় ক্ষমতা দেখে মনে হচ্ছে যেন ইলিশের উৎপাদন কমেছে। আসলে উৎপাদন কমেনি বরং উৎপাদন বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দূষন নদীকে দূষিত করে ফেলছে। আমরা প্রাকৃতিক যে পরিবেশ তা নষ্ট করে ফেলছি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলার বা সমুদ্রের ইলিশ এনে চাঁদপুরের ইলিশের সাথে মিশ্রন করে বিক্রি করছে। যার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে৷ আইন প্রয়োগ করে কোন কিছু সমাধান করা যায় না। যতক্ষণ না নিজের সচেতনা বৃদ্ধি পায়। পরিবেশ সংরক্ষণে যেন সচেতন হই। ইলিশ যেন আমাদের এখানে ডিম ছাড়তে পারে, সেটি আমাদের সকলের দায়িত্ব সেই পরিবেশ তৈরী করা।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসবে গোল টেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত ইলিশের মূল্যের কথা জেনে নিজেই পীড়িত হয়েছিলাম। তখন আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দামের ব্যাপারে বললে সে আমাকে বিভিন্ন জেলা সমন্বয়ে একটি মূল্য তালিকা দেন। চাঁদপুরের ইলিশের স্বাদ আগে থেকেই ছিলো। মানুষের এখন ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। অনেকেই এখন ঘাটে আসার আগেই নদী থেকে মাছ কিনে আনে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়াতে মাছ এখন বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। একটা জিনিসের চাহিদা যত বাড়বে তার মূল্য তত বাড়বে। তবু আমরা নজরদারি করছি। আইন প্রয়োগ করে ৫বছর আগের ইলিশের দাম এখন নিয়ে আসা সম্ভব নয়। আসলে দাম নির্নয় করে তার বাজার।
চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা ও ইয়র্ক ফ্যাশন বিসিকের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানের সভাপতিত্বে আলোচকের বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বাহার।
ইলিশ উৎসবের মহাসচিব ও উৎসবের রূপকার হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উৎসবের চেয়ারম্যান অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার ও আহবায়ক কাজী শাহাদাত।
আলোচনার শুরুতে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানসহ আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
ফম/এমএমএ/