চাঁদপুর: গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে চাঁদপুর জেলার দুটি সেচ প্রকল্প এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে মৌসুমের এই সময়টাতে আখের কর্তন পূর্বে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন কৃষকরা। এর মধ্যে বেশী ক্ষতি হয়েছে মতলব উত্তর, সদর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার আখের আবাদ। কৃষি বিভাগ বলছে তারা চাষীদের সব সময় প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
সরেজমিন ঘুরে এবং খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বহু বছর আগ থেকেই চাঁদপুরে আখের আবাদ হয়ে আসছে। বিশেষ করে ‘চাঁদপুর গ্যান্ডারি’ নামে আখ বেশি আবাদ হয় এ জেলায়। এ বছর জেলায় ৬০৫ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বেশি আবাদ হয়েছে সদর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এবং মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে।
এখন চলছে আখ কর্তনের মৌসুম। ফলন ভালো হয়েছে এ বছর। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। যে কারণে কৃষকরা পড়েছে বিপাকে। আখের আবাদ অঞ্চলে প্রতিদিনই আখ কর্তন করছেন। দিনভর শ্রমিকরা কাজ করছেন এসব আখের জমিতে। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে আখের বাজারজাত নিয়ে দুশ্চিন্তায়। এ জেলার আখ নদী ও সড়ক পথে ঢাকা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলায় বেশি সরবরাহ হয়।
চাষীরা জানান, এবছর আখের আবাদ ভাল হয়েছে। তবে ব্যাপারীরা আখ ক্রয় করতে রাজি হচ্ছে না। তারা বলছে আখ নিয়ে বিক্রি করতে পারছে না। তারা ঋণ করে এসব আখের আবাদ করে বিক্রি করতে না পেরে এখন খুবই দুশ্চিন্তায় আছেন। কারণ অনেক জমিতেই বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে।
আখ ব্যপারীরা জানান, জমিতেই কিনেছি আখ। কিন্তু বিক্রি করতে পারছি না। জমিতেই এখন আখের মধ্যে পচন ও পোকায় ধরছে। জমি কিনার সময় আমাদের লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। না আমরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, এ বছর জেলায় ৬০৫ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়। এ জেলার আখ মূলত চিবিয়ে খাওয়ার জন্য জনপ্রিয়। শুধুমাত্র আখই নয়, আমরা অন্যান্য ফসল আবাদ করার জন্য কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়ে আসছি।
ফম/এমএমএ/