চাঁদপুর : চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার বলেছেন, আমরা যারা নতুন করে জেলা প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছি, তাদেরকে একটি বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, সেটি হচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচন ৫ বছরের নির্বাচন নয়, এটি হবে শত বছরের নির্বাচন। কারণ দেশের স্বাধীনতাকামী লোকজন কীভাবে আগামীর বাংলাদেশ দেখতে চায়, সরকার পদ্ধতি কিরকম হবে, তা নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হবে। এই বিষয়ে তিনি জোর দিতে বলেছেন। কারণ যারা প্রবীণ তাদের চাইতে যারা তরুণ তারা আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে চায় সেই ধরণের লক্ষ্য আমাদেরকে দিয়ে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, সরকার জেলা প্রশাসক হিসেবে আমাকে যে পবিত্র দায়িত্ব দিয়েছে ওই দায়িত্ব আমি অবশ্যই পালন করবো। এক্ষেত্রে জেলার যদি কোন দপ্তরের কাজের ব্যত্যয় ঘটে অথবা সমস্যা মনে করেন, তাহলে মনে করবেন এটার জন্য হয়েছে, আমি দায়ী। আমি ওই প্রতিষ্ঠানের দু:খের সাথে দু:খি হতে চাই। যাতে করে আমি ওই সমস্যার সাথে এক সঙ্গে হয়ে কাজ করি এবং আপনারা আমাকে দেখিয়ে দেন তাহলে ওই কাজের অধিকাংশ সমাধান তাৎক্ষনিক শেষ হবে।
তিনি বলেন, চাঁদপুরে এসে দেখলাম অনেকগুলো স্থানীয় পত্রিকা বের হচ্ছে। আপনারা এসব পত্রিকার মাধ্যমে সমস্যা তুলে ধরলে আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করবো। কারণ জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ হবে, তবে তা সীমিত। আপনারা স্থানীয় পত্রিকা বিস্তারিত তুলে ধরতে পারবেন। যে কারণে আমাদের কাজের সুবিধা হবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, অনেক সময় আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক বক্তব্য দেখবেন যেই বক্তব্য আমার নয়। কারণ তথ্য প্রযুক্তির অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এই বিষয়ে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই ক্ষেত্রেই আপনারা ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন। আপনারা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারবেন কোনটা সঠিক।
জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার কিছু ব্র্যান্ডিং খুব সুনাম অর্জন করেছে। তার মধ্যে সিলেটের চা, চাঁদপুরের ইলিশ, আম হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের। আমি এদিক দিয়ে ভাগ্যবান চাঁদপুরে আসতে পেরেছি। কারণ ইলিশের সুখ্যাতি শুধুমাত্র দেশ নয়, বিশ্ব জুড়ে। চাঁদপুরে ইলিশ কি রকম আছে সেটি বিষয় নয়। আমি একটি দায় নিয়ে এখানে এসেছি, নতুন প্রজন্ম কীভাবে এদেশকে দেখতে চায় সেভাবে আমরা কাজ করবো।
নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে আসার পরে শহরের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেছি। দেখে যে সব সমস্যা উপলব্দি হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে আপনারা আমার সাথে থাকলে এসব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আপনারা অবশ্যই এসব কাজে সঙ্গী হতে পারবেন। আপনারা যেসব কাজ করতে পারবেন, সেসব কাজ আমি করতে পারবো না। আপনাদের দেখানো কাজ আমাকে উৎসাহিত করবে। আপনারা এই মাটির সন্তান হিসেবে অনেক কিছু অবগত। যা আমার জানা নেই। আপনাদের সহযোগিতায় সুন্দর এই চাঁদপুরকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্যে দেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল রুশদী ও সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্যে দেন সাবেক সভাপতি ইকবাল বিন বাশার, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিলন, শাহাদাত হোসেন শান্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া, আব্দুল আউয়াল রুবেল, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন লিটন, ফারুক আহমেদ, আলম পলাশ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা।
ফম/এস.পলাশ/এমএমএ/

