চাঁদপুরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হলেও জড়িতরা আড়ালে

চাঁদপুর : চলতি মাসে যৌথ বাহিনীর দুটি অভিযানে চাঁদপুর সদরের দোকানঘর ও শহরের গুনরাজদী এলাকা থেকে দেশি এবং বিদেশী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়। কিন্তু এসব অস্ত্রের মালিকানা দাবী করা কেউ আটক হয়নি। পুলিশ জিডি করে এসব অস্ত্র থানায় সংরক্ষণ করে।

গত ১২ নভেম্বর যৌথ বাহিনী চাঁদপুর সদর উপজেলার দোকানঘর এলাকা থেকে পাঁচটি পাইপগান ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

একই দিন দিনগত রাতে শহরের গুনরাজদী থেকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে একটি ৭ এমএম পিস্তল (ভারতের তৈরী), একটি ম্যাগজিন এবং এক রাউন্ড পিস্তল এ্যামুনেশন উদ্ধার করে। এই ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।

এর আগে ১১ নভেম্বর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে মুন্সিগঞ্জের কুখ্যাত ডাকাত কিবরিয়া মিয়াজির ৫ জন সদস্যকে একটি বিদেশি শটগান, একটি স্পীড বোট ও নগদ অর্থসহ আটক করে কোস্টগার্ড। সেখানে নৌ পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও সক্ষমতার অভাবে ডাকাতের বিরুদ্ধে অভিযান হয়নি।

গেল বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সরকার তা স্থগিত করে। সেই আলোকে ৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর জেলার ১২২ লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের মধ্যে ১২১টি থানায় জমা হয়। পরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বাকি একটি অস্ত্র সদরের বালিয়া ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করে। ওই অস্ত্রটি ছিলো গণপিটুনিতে নিহত সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম খানের।

চাঁদপুুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, অতি সম্প্রতি যৌথ বাহিনী কর্তৃক উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সাথে কেউ আটক হয়নি। তবে এসব অস্ত্র থানায় জিডি করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আর লাইসেন্সকৃত অস্ত্র থানায় সংরক্ষণ আছে।

চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান বলেন, গেল বছর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে চাঁদপুর জেলায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা থাকলেও প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে কেউ কেউ নিতে পারেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আর কাউকে দেয়া হচ্ছে না।

ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম