
এসময় তার কাছ থেকে ২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, এক বোতল বিদেশী মদ ও ১০ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। বুধবার তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক।
এদিকে খোরশেদ আলম ভুট্টুকে আটকের ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গন ও তাঁর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিপক্ষের লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির নেতৃবৃন্দ’সহ ওই এলাকার লোকজন জানান, তাঁকে (খোরশেদ আলম ভুট্ট) ফাঁসানো হয়েছে। এটি ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু না।
ওই এলাকার হাওলাদার বাড়ির দেলোয়ার হোসেন (৬৫), কাজীমুদ্দিন বেপারী বাড়ির প্রতিবন্ধী লাল মিয়া (৫৫) ও একই বাড়ির আবুল কাশেম (৪৮) জানান, খোরশেদ আলম ভুট্টু মাদকের সাথে জড়িত নন। মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজীমুদ্দিন বাড়ির মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের বসতঘর তল্লাশি করেন।
এরপর তারা (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী) পারুলের ঘরে এসে কাউন্সিলর ঘুম থেকে জাগিয়ে তাকে (সাবেক কাউন্সিলর) ধরে নিয়ে যান। পরে জানতে পেরেছি, কাউন্সিলরকে মদ, ইয়াবা ও গাঁজা’সহ আটক করা হয়েছে। আসলে তিনি এসব কাজে জড়িত নন। খোঁজ নিয়ে দেখেন, এলাকার সবাই মনে করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
কাজীমুদ্দীন বেপারী বাড়ির ভুলু, মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের মা সুফিয়া বেগম ও বোন লিপি জানান, আর্মিরা এসে সোহাগের ঘর দুয়ার (বসতঘর) তল্লাশি করেছে। তবে কিছু পেয়েছে কিনা জানিনা। এরপর শুনেছি, কাউন্সিলরকে ধরে নিয়ে গেছে। এসময় সকলে সাবেক কাউন্সিলরকে নির্দোষ দাবি করে বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান।
থানা প্রাঙ্গণে আসা উপজেলা ও পৌর বিএনপি’সহ অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। তারা জানান, রাজনৈতিক পতিপক্ষের লোকজ খোরশেদ আলম ভুট্টুকে ফাঁসিয়েছেন।
উল্লেখিত বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও থানায় অবস্থিত সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার লোকমান হোসেন বলেন, প্রেস রিলিজের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

