
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নজরুল বন্ধকশী বলেন, বহু বছর ধরে আমি এই বাজারে ব্যবসা করছি। আমার দোকানে মুদি কসমেটিক্স এবং সিলিন্ডার গ্যাস সহ বিভিন্ন মালামাল ছিল। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। রাত ১টার দিকে খবর পাই আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ছুটে এসে দেখি দোকানে আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলছে। চোখের সামনে আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেল। অগ্নিকাণ্ডে তার প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
ব্যবসায়ী নজরুলের স্ত্রী সাথী বেগম বলেন, আমার স্বামী ধার দেনা এবং কিস্তি উঠিয়ে এই দোকানটি চালাতো। এই দোকান থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে আমাদের বড় একটি পরিবার চলত। আজকে আমরা পথের ফকির হয়ে গেলাম। তিনি জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং ইউনিয়নের প্রশাসক মহোদয়ের কাছে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কামাল মোল্লা বলেন, চোখের সামনেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অল্প অল্প করে সঞ্চয় করা অর্থ দিয়ে এই দোকানটি আমি গড়ে তুলেছি। এর সাথে অনেক টাকা কিস্তি উঠিয়ে দোকান বড় করেছি। দোকানের ফ্রিজ বিদ্যুতের মিটার, মালামাল, আসবাবপত্র, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খেয়ে পড়ে বাচবার মতো আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। সরকারি সাহায্য না পেলে আমাকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে পথে বসতে হবে।
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাচ্চু বেপারী, বাজারের মালিক মো. মজিবুর রহমান খান, বহু বছরের পুরনো এই বাজারে ১৫ থেকে ২০ টি দোকান রয়েছে। এক রাতের অগ্নিকাণ্ডে বাজারের দুটি বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বাজারের ব্যবসায়ী এবং গ্রামের নারী পুরুষরা যদি তাৎক্ষণিক পানি ছিটিয়ে আগুন না নিভাত, তাহলে বাজারের একটি দোকানও অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পেত না। বদু নামের স্থানীয় এক লোক বুদ্ধি খাটিয়ে পাম্প মেশিন দিয়ে পাশের খাল থেকে পানি উঠিয়ে আগুনে ছিটিয়েছিল বলে জানান তারা।