দক্ষিন আফ্রিকায় লায়লা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলবেন চাঁদপুরের সাদ্দাম

ছবি: সংগ্রহীত।

চাঁদপুর: দক্ষিন আফ্রিকার কেপটাউনে শুরু হয়েছে এলএমএস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।

আজ ১০ ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ডিসেম্বর। কেপটাউন শহরেই এ টুর্নামেন্টের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এ টুর্নামেন্টে লায়লা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলবেন বাংলাদেশ জাতীয় অনুর্ধ্ব ১৯ দলের সাবেক ক্রিকেটার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ির সাদ্দাম হোসেন।

এ টুর্নামেন্টে ২৪ টি দল অংশ গ্রহন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৩টি দল, দক্ষিন আফ্রিকার ১২ টি, ইংল্যান্ডের ৫টি, পাকিস্তান, ভারত, অস্টোলিয়া ও যুক্তরাস্ট্রের দল রয়েছে। ৬টি গ্রুপে ২৪ টি দল অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের ৩টি দল হচ্ছে হেরিটেজ জয়পুর, ক্রিকেটার্স কুমিল্লা ও লায়লা ক্রিকেট একাডেমী।

সাদ্দাম হোসেনের ক্রিকেটের পথচলাটা ২০০৭ সালের চাঁদপুর ক্রীড়া পরিষদের উদ্দোগে কোচ শামীম ফারুকীর তত্বাবধানে প্রশিক্ষনের এর মধ্য দিয়ে এর পর নিজের সামর্থের প্রমান রেখে এক বছর পরেই জেলা দলের হয়ে ২০০৮ সালে অনুর্ধ-১৪ দলের হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেটে খেলেন সাদ্দাম হেসেন। এভাবে আঞ্চলিক ক্রিকেটে সাফল্য কুড়ানোর মধ্য দিয়ে ঠিক তার দুবছর পর ২০১১ সালটা ছিলো সাদ্দামের জন্য ছিলো সবচেয়ে বড় প্রাপ্তির বছর, সে বছরই বয়স ভিত্তিক দলে প্রথম বারের মতো লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। একই বছর ইন্ডিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট ও তিন ম্যাচ ওডিআই সবমিলিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের নিজের প্রথম ম্যাচে ব্যসম্যন হিসেবে খেলেন ৭০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।

এর পর খুব একটা পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি সাদ্দামকে পরের বছরই ২০১১ সালে বয়স ভিত্তিক জাতীয় দল অনুর্ধ-১৯ দলের হয়ে সুযোগ পান নেপালের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে ক্রিকেটে। সে সিরিজটাতে ৩-০ তে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ এবং ২৫০ রানের অপরাজিত স্বপ্নময় এক ইনিংস খেলেন প্রতিভাবান এ ব্যাসম্যান। সময়ের পালাক্রমে সুযোগ হয় দেশের প্রথম বিভাগীয় ক্রিকেটে। নেপালের বিপক্ষে ৩-০ তে সিরিজ জেতার বছরই ঢাকা লীগে সিটি ক্লাবের হয়ে নাম লেখান প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে। এক বছর সিটি ক্লাবের হয়ে খেলার পরের বছরই তাকে দলে নেয় অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট একাদশ এ ক্লাবটাতেই টানা খেলেম চার বছর । ২০১৬ সালে যোগ দেন ঢাকা লীগের হট ফেভারিট দল রূপগঞ্জ টাইগারসে এই দলটার হয়েও খেলেন দুই মৌসুম।

সবশেষ এক মৌসুম খেলেছেন আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে। এমন পথ যাত্রার মধ্যেও নিজ জেলা চাঁদপুর জেলা দলের বয়স ভিত্তিক সবকটা টুর্নামেন্টেই নিয়মিত ভাবে ক্যাপটেনসি করছেন। এখানেই শেষ নয়, নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেনসির মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। ২০১৭-১৮ এবং ২০১৯-২০ সালে সুযোগ হয় দেশের বাহিরে রেড ব্লু টুর্নামেন্টে। সাত দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি ওয়াল্ডকাপে এই টুনামেন্টে ক্যাপ্টিন হিসেবে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এই দুই আসরে দল প্রত্যাশীত সাফল্য না ফেলেও তিনি চার ম্যাচেই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। দুইটা টুনামেন্টেই হোন ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্ট। সাদ্দাম স্বপ্ন দেখেন নিজের ক্রিকেট প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ধারাবাহিক সাফল্যধারা অব্যাহত রেখে একদিন লাল সবুজের জার্সিটা গায়ে জড়িয়ে বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন ফরিদগঞ্জের প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার।

সাদ্দাম হোসেন ক্রিকেট খেলছেন অনেক দিন ধরেই । একজন অলরাউন্ডার হিসেবে সকলের কাছেই পরিচিত মুখ। সুযোগ পেলে চাঁদপুর স্টেডিয়ামেও বিভিন্ন ক্রিকেট লীগ ও টুর্নামেন্টে অংশ নেন। চাঁদপুর স্টেডিয়ামে বিভিন্ন জেলার ক্রিকেট দল নিয়ে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় বাজেটের এবং জেলার ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম বারের মতো বড় টুর্নামেন্টের সফল আয়োজকদেও মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। শুকবার বিকেলে এ প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জেলা বাসী সহ ক্রিকেটার ও শুভাকাঙ্গিদেও কাছে দোয়া চেয়েছেন। বিদেশের মাটিতে যেনো ভালো ক্রিকেট খেলা উপহার দিতে পারেন।

ফম/এমএমএ/চৌইই/

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম | ফোকাস মোহনা.কম