চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব-গৌরিরপুর পেন্নাই সড়কের নারায়ণপুর বাজার সংলগ্ন বোয়ালজুড়ি খালের উপর নির্মিত সরু ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনসহ স্থানীয় লোকজন। সরু এই ব্রিজটির উপর গাড়ি উঠলেই কেপেঁ উঠে ব্রিজটি। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীবাহী যানবাহনসহ চলছে ভারী পণ্যবাহী যান। ব্যস্ততম এ সড়কের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে যানবাহন বেশি চলাচল করায় এবং খাল দিয়ে অবৈধ নৌযান চলাচলের কারনে ব্রিজের পিলারের নিচের মাটি সরে এবং ছাদের ঢালাই খসে পড়ে ব্রিজটি এখন মরণ ফাদেঁ পরিণত হয়েছে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ে যেকোন সময় ঘটতে পারে প্রাণহানীসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি প্রশস্ত করে দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবী ভুক্তভোগীদের।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্রায় ৪০ বছর আগে মতলব-গৌরিপুর পেন্নাই সড়কের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর বাজার সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বোয়ালজুড়ি খালের উপর নির্মিত হয় এই ব্রিজটি। ব্রিজটি নির্মাণের পর থেকে রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিদিন চাঁদপুর জেলা ছাড়াও পাশবর্তী জেলা নোয়াখালী, লক্ষীপুরসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করছে এই ব্রিজের উপর দিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, ব্যস্ততম এ সড়কের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে যানবাহন বেশি চলাচল করায় ব্রিজের পিলারের নিচের মাটি সরে এবং ছাদের ঢালাই খসে পড়ে ব্রিজটি চলাচলের জন্য এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে ব্রীজের উপর গাড়ি উঠলেই কেপেঁ উঠে ব্রীজটি।
এছাড়াও ব্রিজটি সরু হওয়ায় দুই দিক থেকে ছেড়ে আসা যানবাহন ও পথচারীদের পারাপারের সময় যানজট লেগে থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় প্রতিনিয়ত। ব্রিজটির এক প্রান্ত দিয়ে একটি সিএনজি প্রবেশ করলে বিপরীত প্রান্ত থেকে কোন প্রাইভেটকার, যাত্রিবাহী বাস বা পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারে না। ফলে যানজট লেগেই থাকে। ব্রিজটি যখন নির্মিত হয় তখন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না করে ব্রিজটি নির্মাণের ফলে এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যানবাহনের চালক ও যাত্রী সাধারণরা।
অপরদিকে ব্রিজের দুই পাড়ে রয়েছে ইট, বালুসহ নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা। তারা এই ব্রিজের দুই পাশ দখল করে নানাভাবে জানজটের সৃষ্টি করে আসছে। সরু সড়কের পাশেই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে মালবহন করতে ব্যবহার করছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ট্রাক্টর।
নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মো. শরীফ বকাউল বলেন, এই ব্রিজটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। তাছাড়া ব্রিজটি সরু হওয়ায় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের।
নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের ওপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী বহনকারী গাড়িসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। এ ছাড়া প্রতিদিন নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয় ও নারায়ণপুর পপুলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ আমরা শিক্ষকরা সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। ব্রিজটি ভেঙে কখন যে কী দুর্ঘটনা ঘটে।
ফম/এমএমএ/