কচুয়ায় ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ !

কচুয়া (চাঁদপুর): কচুয়ায় সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার গৌতমের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কচুয়া উপজেলার কোমরকাশা গ্রামের সৌদি প্রবাসীর পিতা হাসানাত ২২ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংক কচুয়া শাখায় তার সঞ্চয়ী হিসাব নং-১৫০৮১৩৪১৩৫৬০৯ এ ১ লক্ষ টাকা মেশিন কাউন্টি করিয়া ব্যাংকের সীলযুক্ত রশিদের মাধ্যমে টাকা প্রদান করেন।

৫ মার্চ রবিবার দুপুরে তার একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংকে টাকা নেই বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান। এসময় সন্দেহ হলে হাসানাত ক্যাশিয়ার গৌতমকে ২২ ফেব্রুয়ারি তার একাউন্টে ১ লক্ষ টাকা জমা দেয়ার বিষয় বললে সে কোন সুদত্তর দিতে পারেনি।

বিষয়টি ব্যাংকের ম্যানেজার কাজী আবু বকর ছিদ্দিকের দৃষ্টিতে আনলে ম্যানেজার তার একাউন্টে টাকা জমা হয়েছে কিনা দেখবেন বলে কালক্ষেপন করেন। পরক্ষনে ম্যানেজার গ্রাহক আবু হাসানাতকে ভয়ভীতি প্রর্দশন করে হুমকি ধমকি প্রদান করে ব্যাংক থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবু হাসানাত ক্যাশিয়ার গৌতমকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, স্থানীয় দু’জন স্বাক্ষীর উপস্থিতে টাকা জমা দেয়ার সময় ক্যাশিয়ার গৌতম স্কল নাম্বার ও স্বাক্ষর না দিয়ে গ্রাহক আবু হাসানাতের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করেন। জমাকৃত ১লক্ষ টাকার ১০০টি নোটের ১টির মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছবির উপরে কালি দিয়ে ঢাকা থাকায় ক্যাশিয়ার হাসানাতকে ১হাজার টাকার নোটটি পালটিয়ে দিতে বললে গ্রাহক হাসানাত বলে আমার কাছে আর কোন টাকা নেই। ওই সময় ব্যাংকে সেবা নিতে আসা অন্য গ্রাহক পারভেজ নিকট থেকে ১হাজার টাকা নোট বদলিয়ে ৫০০ টাকার দু’টি নোট ক্যাশিয়ার গৌতমের কাছে দেয়।

এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক কচুয়া শাখার ম্যানেজার কাজী আবু বকর ছিদ্দিক সাংবাদিকদের জানান, গ্রাহক হাসানাতের কাছে রক্ষিত রশিদটিতে শুধুমাত্র সোনালী ব্যাংকের ‘নগদ গ্রহন’ সীলযুক্ত রশিদ রয়েছে। তবে ক্যাশিয়ার স্বাক্ষর ও স্কল নাম্বার নেই।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.ইব্রাহিম খলিল জানান, সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক আবুল হাসানাতের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ফম/এমএমএ/

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম