চাঁদপুর : মৌসুম শুরু হলেও গত কয়েকদিন ইলিশের বাজার ছিল নিম্ন। দেশের দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে আমদানি বাড়ায় চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সরগরম হয়ে উঠেছে। এখন প্রতিদিন দেড়শ থেকে প্রায় ২০০মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। তবে কারফিউর কারণে গত কয়েকদিন মাছঘাটে আসা ইলিশ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পরিবহন সংকটে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে হাকডাকে ইলিশ বিক্রির দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, চলমান পরিস্থিতি ও কারফিউর কারণে গত কয়েকদিন ইলিশের আমদানি হলেও দেশের পরিবহন সংকটে অন্যান্য জেলাগুলোতে ইলিশ পাঠানো সম্ভব হয়নি এবং ব্যবসায়ীরাও আসতে পারেনি। কারফিউর কারণে অনেক পরিবহন মালিক তাদের গাড়ী ভাড়ায় চালাতে নারাজ।
চাঁদপুর মাছঘাটের ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন বলেন, আজকে ঘাটে প্রায় ২০০মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। এসব ইলিশ নোয়াখালী হাতিয়াসহ আশাপাশের এলাকা থেকে এসেছে। পরিবহন চলাচলে ঠিক থাকলে কেনাবেচা বাড়বে।
ঘাটের আরেক ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বলেন, আজকে আমদানি করা ইলিশের মধ্যে ৫শ’ থেকে ৬শ’ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ টাকা। ৮শ থেকে ৯শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা এক কেজি ওজন ও এর চাইতে বেশী ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা।
ঘাটে মাছ ক্রয় করতে আসা ক্রেতা হানু চন্দ্র দাস বলেন, ঘাটের কয়েকটা আড়ৎ ঘুরে দেখেছি লোকাল ও আমদানি সব ইলিশেরই দাম বেশী। সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ইলিশের দাম।
হাজীগঞ্জ থেকে আসা ক্রেতা মামুন ও মোজাম্মেল বলেন, আমরা ইলিশের বাড়ী চাঁদপুরের বাসিন্দা হলেও ইলিশের স্বাদ নিতে পারি না। কারণ কয়েকটি খুচরা দোকানে ইলিশ দেখে মনে হলেও আমাদের কেনার সাদ্য নেই। দামদর করছি যদি মিলে যায় তাহলে কিনবো।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন, গত বছর ইলিশের মৌসুমের এই সময় আড়াই থেকে ৩ হাজার মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। কিন্তু এবার অনেক নিছে চলে এসেছে ইলিশের আমদানি। এখন প্রতিদিন স্থানীয় পদ্মা-মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের গড়ে দেড়শ থেকে ২২০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভাবতে হবে।
ফম/এমএমএ/