নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবন শংকায় অসহায় নারী লুৎফা আক্তার

মতলব উত্তর (চাঁদপুর): যৌতুক, পারিবারিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন অসহায় নারী লুৎফা আক্তার। স্বামী মোঃ শামীম আহম্মেদের যৌতুক ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর কোন উপায়ন্তর না পেয়ে আইনের আশ্রয় নেন অসহায় নারী। কিন্তু আদালতে মামলা করার পর তার স্বামী আরো বেপারোয়া হয়ে পড়ে। রাস্তা ঘাটে, যেখানে সেখানে মারধর ও অপমান অপদস্ত সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া গ্রামের আক্কাছ আলী সরকারের মেয়ে তিনি।

গত ০১/০৬/২০১৭ইং তারিখে ইসলামী সরাশরীয়ত মোতাবেক উত্তর লুধুয়া (আমতলা) একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোঃ শামীম আহম্মেদের সাথে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় লুৎফার। বিয়ের পরে তারা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দাক্ষিণ আজিমপুরে থাকতেন। সেখানে লুৎফা চাকুরী করেন। বিয়ের পরে তার সুখের কথা চিন্তা করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের খাট, সুকেজ, টেলিভিশিন, আলনা ও এক ভরি স্বর্ণালংকার দেন লুৎফার পিতা। এবং জমি ক্রয় করার কথা বলেও আরো ৬০ হাজার টাকা নেয় লুৎফার স্বামী। এসব যৌতুকের টাকা লোন করার মাধ্যমে দিয়েছে লুৎফার পরিবার। কিন্তু তাতেও শামীম শান্ত হন নি। পরবর্তীতে লুৎফার শ্বশুর বিল্লাল হোসেন ও শ্বশুড়ি মালেকা বেগমের কুপরামর্শে স্বামী শামীম আহম্মেদ ব্যবসা করার জন্য আরো ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করলে পরিবারে অশান্তি দেখা দেয়। এ নিয়ে গত ২০/০৯/২০২১ইং তারিখে ও ০৮/১০/২০২১ইং তারিখে সিদ্দিরগঞ্জের বাসায় থাকাবস্থায় লুৎফার উপর মারধর ও অমানসিক নির্যাতন চালায় তার স্বামী শামীম আহম্মেদ। পরে লুৎফা আক্তার বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালত, নারায়ণগঞ্জে মামলা তার স্বামী শামীম, শ্বশুর বিল্লাল হোসেন ও শ্বশুড়ি মালেকা বেগমসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতিত অসহায় লুৎফা আক্তার বলেন, আমি নির্যাতনের শিকার হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। তারপর পর থেকে শামীম যেখানে আমাকে দেখে সেখানেই মারধর করে। গত ২৬/১২/২০২২ইং তারিখে সন্ধ্যায় আমার অফিস ছুটি হওয়ার পরে বাসায় যাওয়ার সময় সিদ্দিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজের সামনে আমাকে আমাকে এবং আমার ৫ বছর বয়সী ছেলে লাবিবকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। তার ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে আমাকে কল করে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। পরে গত ২৮/১২/২০২২ইং তারিখে আমি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। আমি অনেক ভয়ে আছি আমাকে যেকোন সময় মেরে ফেলতে পারে। আমি আইনের কাছে দ্রুত বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য একাধিকবার শামীমের মুঠোফোনে কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ফম/এমএমএ/আরাফাত/

আরাফাত আল-আমিন | ফোকাস মোহনা.কম