চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ৭নং পশ্চিম বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহরা গ্রামের সিদ্ধার বাড়ীতে নিজস্ব জমিনের উপর বাড়ী করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মিথ্যা ১৪৫ ধারার গ্যাড়াকলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে সুবল চন্দ্র দাসের পরিবার। শীত আর কুয়াশায় নারী আর শিশুদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে ওই পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, সিদ্ধার বাড়ীর সুবল দাস তার নিজস্ব জমিনের উপর ৭৮০ খতিয়ানে ৭ শতাংস জমিনের উপর পুরাতন ঘর ভেঙ্গে নতুন করে ঘর করছে। প্রতিবেশী উদ্দপ চন্দ্র দাস চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ তুলে ১৪৫ ধারা জারি করে।
সরেজমিনে ওই বাড়ীতে গেলে বাড়ীর গ্রামের শালিশদার বীরমুক্তিযোদ্ধা সুনীল চন্দ্র দাস, শুধাংসু দাস ও মানিক দাস জানান যে, গত ৬০-৭০ বছর পূর্বে তাদের দাদুর আমল থেকে এখানে বসবাস করছে। যেই জাগার উপর ঘর করা হচ্ছে এখানে উদ্দীপন চন্দ্র দাসের কোন জায়গা নেই। সে নিজেই আমিন নিয়ে গ্রামের শালিশদার নিয়ে বাড়ী মেপে তার জায়গা বুঝে নিয়েছে। এখন আবার সে নিজেই দাবী করছে জায়গা পাবে। আমরা বাড়ির সবাই বসে সমাধান করার চেষ্টা করলেও সে বা তার পরিবারের কেউই এখানে আসেন নাই। এভাবে সে মানুষকে হয়রানি করছে। তারা এর প্রতিকার চায়।
এলাকার ইউপি সদস্য মুসলিম গাজীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই বাড়ি মাপার সময় আমি নিজেও ছিলাম। আমার দেখা মতে সুবল দাসের বিল্ডিং মাঝখানে তিন ফুট হাটার জায়গা অতিক্রম করে উদ্ধপ দাসে যায়গায় যায়নি। আমার কাছে সুবল দাসের ছেলে সমাধানের জন্য গেলে আমি নিজে সমাধান করার চেষ্ঠা করলেও আমার কথা না শুনে উদ্ধপ দাসের স্ত্রী রাসমনি দাস ঝিনু সোজা থানা অভিযোগ ও পরে মাললায় চলে যান।
জমিনের মালিক সুবল দাস জানান, আমার ৩ ছেলে এর মধ্যে এক ছেলে প্রতিবন্ধী। আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে উদ্দীপন চন্দ্র দাস, তার স্ত্রী রাস মনি দাস ঝিনু মিথ্যা মামলা দায়ের করছে ও হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
সুবল দাসের ছোট ছেলে মিঠুনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বিল্ডিং এর কাজ করার সময় উদ্ধপ দাসের স্ত্রী রাস মনি দাসকে বলি আমরা ঘর করছি পল্লি বিদ্যুৎ অফিসে একটা আবেদন করে ড্রফ তারটা বারিয়ে নিয়েন। সে রেগে গিয়ে গরম হয়ে যায় এবং এরই জের ধরে ও মিথ্যা মাললা দায়ের করেন। আমি উদ্ধপ দাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি জানুয়ারী-২৬ইং বাড়িতে আসবো তখন এটার মিমাংসা হবে। এখন কোন ধরনের মিমাংসা হবে না। এছাড়াও বাড়ির শালিশদার সুনীল দাস, শুদাংশু দাস, ইউপি সদস্য মুসলীম গাজী, আষিশ দাস, দেবরাজ দাস ও তাদের নিকট আত্বীয় ডা. মানিক লাল মজুমদার ও দ্বিপক দাস সহ বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে দুই পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে বসে সমাধানে আসার চেষ্ঠা চালিয়েছি। কিন্তু তিনি কোন ভাবেই বসবে না বলে যানিয়ে দেন। এবং এটাও বলেন তুই পারলে কিছু করে দেখা।
আরো জানা যায়, ওনাদের পুরোহিত বাবুল চক্রবর্তী মামলায় না গিয়ে বসে মিমাংসা করার আশ্বাস দিলেও তিনি মামলা করবেই বলে জানিয়ে দেন।
তিনি আরো বলেন, এলাকায় যারা শালিশ দরবার করে তাদেরকে জানিয়েছি। কিন্তু উদ্ধপ ও তার স্ত্রী রাস মনি কারো কথাই মানেনা।
এ বিষয়ে উদ্দীপন চন্দ্র দাসের স্ত্রী রাস মনি দাস ঝিনু বলেন, পথের উপর ঘর করছে তাই মামলা করেছি। বাড়ীর সবাইতো আপনাদের বিপক্ষে কেউ আপনাদের পক্ষে কোন কথা বলছেনা। সবার দাবী আপনারা মিথ্যা অভিযোগ করছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন জবাব দেননি। তবে তার স্বামী উদ্দীপন মুঠোফোনে বলেন, যাই করেন, আমি মালায় বুঝবো।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার এসআই জয়নাল আবেদীন জানা, আদালত আমাদের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে, আমি প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি।
ফম/এমএমএ/

