
চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়নপুর এলাকার মোঃ আলী আর্শ্বাদ শেখের ছেলে মোঃ ওমর ফারুক কচুয়া উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে ডাঃ মোঃ কামাল উদ্দিন এর কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে অদ্যবদী পর্যন্ত পরিশোধ না করে প্রতারনা করে আসছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং- ৪৭৮/২০২২ইং।
এছাড়াও মোঃ ওমর ফারুক ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার সেজে মতলবের নারায়নপুর ম্যাক্স ভিআইপি হসপিটাল, ইস্কয়ার হসপিটাল, কচুয়া টাওয়ার হসপিটাল ও সাচার সেন্ট্রাল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ডায়মন্ড হসপিটাল এন্ড ল্যাব সহ বেশ কয়েকটি হসপিটালে অবৈধ ভাবে সিজার করে আসছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ওমর ফারুক কচুয়া ট্রমা হসপিটালে কাজ (সিজার) করার সুবাধে এবং কচুয়া বাজারে ডাঃ কামাল উদ্দিন এর দোকান থাকায় পূর্ব পরিচিত ছিলো। এ সুবাধে ১ সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধের কথা বলে ডাঃ কামাল উদ্দিন এর কাছ থেকে ২০১৯ সালে ৩ লক্ষ টাকা হাওলত নেন ওমর ফারুক। কিন্তু টাকা পরিশোধের সময় অতিবাহিত হলেও ওমর ফারুক টাকা পরিশোধ না করে কালক্ষেপন করতে থাকে। কামাল উদ্দিন টাকার ব্যাপারে বহুবার তাগাদা দিলে ২০২২ সালের ২৪ জুলাই ওমর ফারুক এর নামীয় এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক মতলব দক্ষিণ উপজেলা নারয়ায়পুর শাখার ৩লক্ষ টাকার একটি চেক প্রাদান করেন। যার হিসাব নং- ১১১১১১০০০১০৭৩৭, চেক নং- ৫১৬৮১৯৩। উল্লেখিত চেক খানা ওই দিন ব্যাংকে জমা দিলে অপর্যাপ্ত তহবিল থাকায় এর পরদিন ২৫ জুলাই নগদায়ন না হয়ে প্রত্যাখাত হয়।
পরবর্তিতে চেকখানা ডিজঅনারের বিষয়ে ওমর ফারুককে ২০২২ সালে ১৬ আগষ্ট এ/ডি যুক্ত লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে কামাল উদ্দিনের পাওনা ৩ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে চেকখানা ফেরত নেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করলেও ওমর ফারুক বিষয়টি আমলে নেন নাই।
এ বিষয়ে ডাঃ কামাল উদ্দিন জানায়, সে আমার পাওনা টাকা পরিশোধ না করে মামলা উঠানোর জন্য প্রতিনিয়ত তার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকি দিয়া আসছে এবং বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়বাড়ি করলে আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেন ওমর ফারুক। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুনগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।
জানা যায়, মোঃ ওমর ফারুক এমবিবিএস ডিগ্রীর ভূয়া সার্টিফিকেট দাখিল করে প্রতারনার মাধ্যমে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) হতে রেজিষ্ট্রেশন গ্রহণ করে। যার নং এ-৮৪৭৩৩, তারিখঃ ০৪/১০/২০১৭। এরপর থেকেই সে মতলবের নারায়নপুর তার প্রতিষ্ঠিত ম্যাক্স ভিআইপি হসপিটাল, ইস্কয়ার হসপিটালে অবৈধ ভাবে সিজার করে আসছে। এছাড়াও তিনি কচুয়া টাওয়ার হসপিটাল, সাচার সেন্ট্রাল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ডায়মন্ড হসপিটাল এন্ড ল্যাব সহ বেশ কয়েকটি হসপিটালেও অবৈধ ভাবে সিজার করে আসছে।
পরবর্তিতে তার এ ভূয়া সার্টিফিকেটের বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) জানতে পেরে তার রেজিষ্ট্রেশন সনদ বাতিল করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিএমডিসি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রতারনার মামলা করেন, যার প্রতিবেদন চেনেল ২৪ এ প্রচার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে যে, ওমর ফারুক নিজেকে চিকৎসক পরিচয় দিতে কিংবা চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত করিতে পারিবে না। যদি চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যায় তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
বর্তমানে সে মেক্স ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল (প্রাইঃ) লিঃ কোম্পানি করে অবৈধ ভাবে এম এল এম ব্যবসাও পরিচালনা করে আসছে।
ফম/এমএমএ/