‘দারিদ্র বিমোচন ও সমাজসেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করতে চাই : সেলিম মিয়া’

চাঁদপুর: মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ- নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করে জনগণের ভালবাসার প্রতিদান দিতে প্রার্থী হয়েছেন  গরীব দুঃখী ও মেহনতী মানুষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট সেলিম মিয়া।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এডভোকেট সেলিম মিয়ার নির্বাচনী প্রতীক ঘোড়া। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু হয়েছে। ঘোড়া প্রতীক পাওয়ার পরে তিনি মোহনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরেঘুরে ভোট প্রার্থনা করেন।
এডভোকেট সেলিম মিয়া এখন ইউনিয়নবাসীর কাছে আইকন হিসেবে পরিচিত এবং চেয়ারম্যান প্রার্থী  হিসেবে তিনি জনগণের ভালোবাসা পাচ্ছেন ব্যাপক। ইউনিয়নবাসীর সমর্থন ও সহযোগিতা পেলে মানব সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার মাধ্যমে ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি।
প্রতীক পাওয়ার পরে চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট সেলিম মিয়া গণমাধ্যম কে   বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কথা বলতে চাই এবং আপনাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হতে চাই। এলাকার জনগণ আমাকে নির্বাচন করতে উৎসাহ দিচ্ছেন। তাদের আশা পূরণের জন্য আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।
মোহনপুর ইউনিয়নের অবহেলিত-অসহায় মানুষের দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে সমাজসেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করতে চাই। ইউনিয়নবাসীর সমর্থন, সহযোগিতা ও ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সকল অবহেলিত-অসহায় হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবো। কাঙ্খিত উন্নয়ন বঞ্চিত ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন হিসেবে উপহার দিতে এলাকায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন, অপরাধ প্রবনতা মাদকদ্রব্য চোরাচালান ও যাত্রা-জুয়া নির্মূল করণসহ নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্য বিবাহ এবং বহুবিবাহ প্রতিরোধ, সমাজের সহিংসতা বন্ধ, যুব সমাজকে মাদকদ্রব্য সেবনের হাত থেকে ফিরিয়ে আনার অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। পাশাপশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, পিছিয়ে পড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠীদের সার্বিক সহযোগিতা, সামাজিক উন্নয়ন, রাস্তা নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন, লেখাপড়ার মানোন্নয়ন, খেলাধুলার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে অবহেলিত ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ। এরজন্য তিনি সকলের সমর্থন, সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন। আমি মানবতার সেবায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাধ্যমতো অবহেলিত-অসহায় মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। আমি বিশ্বাস করি ব্যাপক পরিসরে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করতে জনপ্রতিনিধির বিকল্প নেই। এলাকায় আমায় ব্যাপক জনসমর্থন আছে নির্বাচন করলে ইনশাআল্লাহ আমি বিজয়ী হবো। স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে অংশীদার হতে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন,  কালো টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায় না জনগণের ভালবাসা দিয়ে ভোট ও সমর্থন আদায় করতে হয়। আমি বিশ্বাস করি আগামী ১৬ মার্চের নির্বাচনে ইউনিয়নের সকল ভোটার তাদের দীর্ঘদিনের কাংখিত সেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেই জনতার রায়ের সত্যিকারের প্রতিফলন ঘটাবে ইনশাআল্লাহ। হুমকি ধমকি দিয়ে জনতার ভোটাধিকার হরন করা যাবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম