চাঁদপুর: অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চলছে সাগরিকা কমিউটার ট্রেন। ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়া এবং আসার নির্ধারিত সময়ের সাথে মিল নেই। যাত্রী সেবাও যাচ্ছেতাই অভিযোগ তুলেছে যাত্রী সাধারণ।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা ২টা ৩০মিনিটে মেহের রেলওয়ে স্টেশন টিকিট কাউন্টার থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্য টিকেট ক্রয় করেন।
শাহরাস্তি মেহের থেকে চট্রগ্রামের টিকিটের গায়ে নির্ধারিত মূল্য ৭৫ টাকা হলেও দ্বিগুন টাকা দিয়ে টিকিট নিতে হয়েছে যাত্রীদের। বাড়তি আরো ৭৫ টাকা যোগ করে ১৫০ টাকা দিয়ে টিকিট নিতে হয়েছে কাউন্টারের টিকিট বিক্রির কর্মকর্তা আলমগীরের নিকট থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে টিকিট ক্রয় করে কচুয়ার সুজন নামে এক যুবক। সুজনের বক্তব্য তিনি তার বাবা-মাসহ ৩ টি টিকিট ক্রয় করেন। এ নিয়ে মেহের স্টেশনের যাত্রীরা খুবই ক্ষুদ্ধ।
যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিট কাউন্টারের আলমগীরের নিকট অনিয়ম যেন নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না।
সাধারণ যাত্রীদের ভাষ্য বাড়তি টাকা দিলে আসন মিলে। নয়তো স্ট্রান্ডিং টিকিটে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। ট্রেনের পরিদর্শক এ ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়। যার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে।
চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন ভ্রমণ দূরত্ব ১৮০ কিমি যাত্রার গড় সময় ৫ ঘণ্টা ৫ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু বর্তমানে সাগরিকা এক্সপ্রেস গন্তব্য স্থানে পৌছতে সাড়ে পাঁচ ঘন্টা থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা ট্রেনটি যাত্রাপথে ২১টি স্টেশনে বিরতি দিয়ে চাঁদপুর পৌঁছে।বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল দ্বারা পরিচালিত মিটারগেজ যাত্রীবাহী ট্রেনটি প্রথম পরিসেবা চালু করে ১৫ জুন ২০০৭ সালে।
২০১৫ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারিতে এটি বেসরকারী মালিকানায় চলে যায়। বর্তমানে এটি ‘এন এল ট্রেডিং’ কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।
ফম/এমএমএ/