সত্যের মুখোশে মিথ্যার নাটক : মানুষের এক অদ্ভুত প্রবণতা

মানুষ এক অদ্ভুত প্রাণী। সে যেমন সত্যকে ভালোবাসে, তেমনি মিথ্যাকে আড়াল করে সত্যের সাজে প্রকাশ করতেও দক্ষ। মানুষের এই দ্বিমুখী চরিত্রকে আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাই কখনও রাজনীতিতে, কখনও চাকুরীজীবিতে, কখনও সামাজিক জীবনে, আবার কখনও ব্যক্তিগত আচরণে। পৃথিবীর ইতিহাসে যত বড় অপরাধ, যত ভয়ঙ্কর অন্যায়, যত অমানবিক কাজ সংঘটিত হয়েছে তার প্রায় প্রতিটিই ঘটেছে সত্যবাদীতার মুখোশ পরে। অপরাধীর মুখে শোনা গেছে নির্দোষ হওয়ার অজুহাত, মিথ্যাবাদীর ঠোঁটে শোনা গেছে সত্যের বুলি। এ যেন এক নাটক, যেখানে মঞ্চে সত্যের পোশাক পরে অভিনয় করে মিথ্যা। এই প্রবণতাই মানুষকে সবচেয়ে জটিল করে তুলেছে। কারণ, সত্য ও মিথ্যার মধ্যে সীমারেখা অস্পষ্ট হয়ে গেলে সমাজের নৈতিক ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে পড়ে।

মানুষ কেন মিথ্যার ওপর সত্যের মুখোশ চাপায়?
মানব মনস্তত্ত্বের বিশ্লেষণ বলছে, প্রতিটি মানুষ তার ভেতরে একটি নৈতিক সত্তা বহন করে। সে নিজেকে অন্যদের চোখে ভালো, সৎ, সত্যবাদী এবং নির্দোষ হিসেবে দেখতে চায়। কিন্তু বাস্তব জীবনে যখন স্বার্থ, লোভ, ক্ষমতার প্রলোভন বা সামাজিক চাপের কারণে সে অন্যায় করে বসে, তখন তার ভেতরের নৈতিক সত্তা তাকে অপরাধ বোধে কুরে কুরে খায়। এই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ মিথ্যার ওপর সত্যের মুখোশ চাপায়।
অন্যায় করা মানুষ নিজের কাছে যুক্তি দাঁড় করায়-
“আমি এটা করেছি, কারণ আমার আর কোনো উপায় ছিল না।”
“সবার ভালো চাইতে গিয়ে আমাকেই দোষী ভাবা হচ্ছে।”
“আমি আসলে ন্যায়ের পক্ষেই দাঁড়িয়েছি।”
এভাবে আত্মপ্রবঞ্চনার ভেতর দিয়ে সে নিজের অপরাধকে আড়াল করার চেষ্টা করে।

নিজের ভুল ঢাকতে সাজাই সত্যের পোশাক,
অপরাধের ভারে ভেঙে যায় চিত্তের ছক,
ভেতরে লুকানো ভয় আর অপরাধের ছায়া,
মিথ্যার আড়ালে হাসে মানুষ, দুচোখে মায়া।

ইতিহাসে সত্যের মুখোশে মিথ্যার কাহিনিঃ
মানবসভ্যতার ইতিহাসে সত্যের মুখোশে মিথ্যার অভিনয়ের উদাহরণ অসংখ্য। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করলে দেখা যায় যুদ্ধবাজ সম্রাটেরা নিজেদের বিজয়যজ্ঞকে “ন্যায়ের যুদ্ধ” বলে আখ্যা দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, নারীরা লাঞ্ছিত হয়েছে, কিন্তু শাসকগণ দাবি করেছেন “এটি জনগণের কল্যাণের জন্য।” মধ্যযুগে অনেক ধর্মযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। সেগুলোতে রক্তের নদী বয়ে গেছে। কিন্তু প্রত্যেক পক্ষই নিজেকে সত্যবাদী প্রমাণ করেছে, আর প্রতিপক্ষকে শয়তান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আধুনিক ইতিহাসে হিটলার, মুসোলিনি, কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী নেতারা সকলে নিজেদের কাজকে “দেশপ্রেম”, “ন্যায়” বা “শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা”র নামে সাজিয়ে নিয়েছেন। অথচ তাদের শাসনই ছিল বব্ররতা ও মিথ্যার নির্মম উদাহরণ।
ইতিহাস বলে, সত্যের মুখোশে লুকানো সব অন্ধকার,
যেখানে শাসক হাসে, কিন্তু গণের চোখে ব্যথার জ্বলাশ্রাব,
মৃৃত্যু, দমন, লোভ সবই সাজানো নাটক,
মঞ্চে হাসে সত্য, ভেতরে মিথ্যার ছায়া বিকট।

রাজনীতির নাট্যমঞ্চে সত্যের মুখোশঃ
আমাদের সমকালীন রাজনীতির দিকে তাকালেই আমরা দেখতে পাই, প্রায় প্রত্যেক নেতা-নেত্রীই দাবি করেন তারা জনগণের সেবক, সত্য ও ন্যায়ের সৈনিক। অথচ অনেক সময় তারা নিজেরাই দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে জড়িয়ে পড়েন। দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ যখন সংবাদ সম্মেলনে দাঁড়িয়ে বলেন “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি ন্যায়ের পথে আছি। তখন তা আসলে সত্যের মুখোশে মিথ্যার এক ক্লাসিক উদাহরণ হয়ে ওঠে। জনগণের কাছ থেকে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসা অনেকেই সত্যবাদিতার প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু ক্ষমতায় পৌঁছার পর সেই প্রতিশ্রুতি বিসর্জন দেন। অথচ তারা নিজেরাই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়ে বলেন “আমি জনগণের কল্যাণ ছাড়া কিছু ভাবি না।”

মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেয় সত্যের গান,
অন্তরে লুকানো থাকে অন্যায়ের প্রলাপরান,
দেখে কেউ বুঝে না, মুখোশের আড়ালে,
কী চলে একাকার, সত্য-মিথ্যার খেলা কালো।

চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে সত্যের মুখোশঃ
সমাজের এক বিশাল অংশ হলো চাকরিজীবী মানুষ। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত তারা নিরলস পরিশ্রম করেন, অফিসে ফাইলের স্তূপ সামলান, কলকারখানায় ঘাম ঝরান, গার্মেন্টসে লক্ষ্য পূরণের জন্য মেশিনের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। তাদের ঘামের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠান চলে, মালিক মুনাফা পান, অর্থনীতি সচল হয়। কিন্তু মাস শেষে যখন তাদের প্রাপ্য মজুরি বা বেতন দেওয়ার সময় আসে, তখনই শুরু হয় নানা তালবাহানা।
কেউ বলেন-
“ব্যবসায় মন্দা চলছে, তাই সময়মতো বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।”
“এই মাসটা একটু সামলে নাও, পরের মাসে সব পরিশোধ করে দেব।”
“আমি কর্মচারীদের আপনজন মনে করি, কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ।”

আসলে এই অজুহাতগুলোই সত্যের মুখোশে মিথ্যার নাটক। কর্মচারীরা সারা মাস ঘাম ঝরালেন, অথচ প্রাপ্য বেতন না পেয়ে পরিবার চালাতে হিমশিম খেলেন। সন্তানের স্কুলের ফি দেওয়া যাচ্ছে না, বাড়ি ভাড়া বাকি পড়ে যাচ্ছে, সংসারের চুলা জ্বলে না। কর্মচারীদের এসব দুঃখ-কষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকের চোখে ধরা পড়ে না। দিন শেষে এসব কর্মচারীরা কাজ করে কান্না মুখে বাসায় ফিরলেও যেন তাদের স্বস্তি মিলে না, পরিবারের ঝামেলা, সংসারের ঝামেলা, পরিবারের সদস্যদের অনাহারের চিন্তা। সব যেন ঐ কর্মচারীর মাথায় ঘুরপাক করে।

অফিসে ফাইল, কলকারখানায় ঘাম ঝরে,
মাস শেষে বেতন চাও, অজুহাতের ঢল পড়ে,
সত্যের সাজে মিথ্যা বলে কর্তা হাসে,
কর্মচারীর দুঃখে শুধু মনটুকু কাঁপে।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের উদাহরণঃ
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। তাদের ঘামে গড়ে ওঠে বৈদেশিক মুদ্রার পাহাড়। অথচ প্রায়ই দেখা যায় মালিকরা মাস শেষে বা ঈদের আগে বেতন-ভাতা দিতে কালবিলম্ব করেন। তখন শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হন। অথচ মালিকেরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন “আমরা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করি।” এটাই সত্যের মুখোশে মিথ্যার নির্মম উদাহরণ।

প্রাইভেট সেক্টরে কর্মচারীদের বাস্তবতাঃ
ব্যাংক, বীমা, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল বা এনজিও সর্বত্রই একই চিত্র দেখা যায়। কর্মচারীদের কাছ থেকে ৮-১০ ঘণ্টা কাজ নেওয়া হয়, কখনও তার চেয়ে বেশি। কিন্তু মাস শেষে তাদের বেতন হয় বিলম্বিত, নয়তো অজুহাতের আড়ালে কেটে রাখা হয়। অথচ কর্তার মুখে শোনা যায় “আমি তো সবসময় কর্মচারীদের পরিবার ভেবে যত্ন করি।”

অফিসের চাপ ও বাস্তবতাঃ
অফিসে অনেকে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯/১০টা পর্যন্ত কাজ করেন। অনেক সময় অতিরিক্ত কাজ করলেও তার কোনো প্রাপ্য মেলে না। কিন্তু সভা-সমাবেশে কর্তারা বলেন “আমাদের কর্মচারীরাই প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। তাদের ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।”
প্রকৃতপক্ষে কর্মচারীরা প্রাণ হলেও, তারা বেতন-বোনাস না পেলে মর্যাদা হারায়। আর এই বৈপরীত্যই সত্যের মুখোশে মিথ্যার সবচেয়ে ভয়াবহ নাটক।
সারাদিন ঘাম ঝরে অফিস-কলকারখানায়,
মাস শেষে বেতন চাও, অজুহাতের বান পড়ায়,
ঈদের আগে ঘরে কান্নার স্রোত,
সত্যের মুখোশে মিথ্যা চলে স্বাভাবিক।

সমাজজীবনে এই প্রবণতাঃ
মানুষ শুধু রাজনীতি আর চাকুরীজীবেতে নয়, দৈনন্দিন জীবনেও মিথ্যার ওপর সত্যের আবরণ চাপাতে অভ্যস্ত।
একজন ব্যবসায়ী মজুতদারি করে বাজারে সংকট সৃষ্টি করলেও বলে “আমি কেবল বাজারের নিয়ম মেনে চলছি।”
শিক্ষক পড়ান না, কিন্তু অভিযোগ তোলেন “শিক্ষার্থীরাই পড়াশোনা করতে চায় না।”
ছাত্র পরীক্ষায় নকল করে, অথচ বলে “প্রশ্নপত্র কঠিন ছিল, তাই করতে হলো।”
প্রতারক প্রেমিক/প্রেমিকা সম্পর্ক ভাঙার দায় নিজের ওপর না নিয়ে বলে “আমি তো সবসময় সত্য বলেছি।”
এভাবেই প্রতিদিনের জীবনে আমরা মিথ্যার নাটক দেখি, যেখানে প্রতিটি চরিত্রই সত্যবাদীর অভিনয় করছে।

প্রতিটি হাসির আড়ালে লুকানো অসন্তোষ,
স্বার্থের জন্য সত্যকে আমরা করি ক্ষয়,
সমাজের চোখে আমরা করি ন্যায়পরায়ণ,
ভেতরে লুকানো থাকে শুধুই প্রতারার প্রেরণ।

সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে প্রতিফলনঃ
সাহিত্য মানুষের এই দ্বিমুখিতা বারবার ফুটিয়ে তুলেছে। বাংলা সাহিত্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা সেলিনা হোসেন সবাই মানুষের এই বৈপরীত্যের দিকটি তুলে ধরেছেন। শরৎচন্দ্রের উপন্যাসে বহু চরিত্র আছে যারা সমাজের চোখে সত্যবাদী সাজে, কিন্তু অন্তরে অসৎ। পশ্চিমা সাহিত্যে শেক্সপিয়রের “ম্যাকবেথ” কিংবা “ওথেলো” নাটকেও আমরা দেখি কিভাবে চরিত্ররা মিথ্যাকে আড়াল করতে সত্যবাদিতার মুখোশ ব্যবহার করেছে। চলচ্চিত্রেও এই প্রবণতা স্পষ্ট। ভিলেন চরিত্রও প্রায়ই নিজেকে নায়ক প্রমাণ করতে চায়।
নাটকের মঞ্চে হাসে মুখোশের নায়ক,
ভেতরে লুকানো থাকে অন্যায়ের ভয়,
পাঠক বুঝে না, যে সত্য সেখানে আছে,
মিথ্যার সাজে চলতে থাকে দিনের খেলা।

মনোবিজ্ঞানের বিশ্লেষণঃ
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষের এই আচরণকে “নৈতিক আত্মপ্রবঞ্চনা” (গড়ৎধষ ঝবষভ-উবপবঢ়ঃরড়হ) বলা যায়।
এর মূল কারণ হলো:
১. সম্মান বজায় রাখা: সমাজে লজ্জা এড়াতে মানুষ অন্যায়ের বদলে সত্যের মুখোশ পরে।
২. আত্মপক্ষ সমর্থন: নিজের কাছে অপরাধ কমিয়ে দেখাতে চায়।
৩. মানসিক শান্তি: অপরাধবোধ থেকে মুক্ত থাকার কৌশল।
৪. সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা: মানুষ চায় সবাই তাকে সত্যবাদী বলুক, মিথ্যাবাদী নয়।

নিজেকে শান্ত করতে মিথ্যা সাজাই সত্যের খামারে,
মালিক, নেতা, শ্রমিক সবাই খুঁজে মানসিক শান্তি,
ভেতরে অপরাধ, বাইরে সাজানো মুখোশ,
এভাবেই চলতে থাকে জীবনের নাটক ধূসর।

সমসাময়িক বাংলাদেশে বাস্তবতাঃ
আমাদের সমাজেও এই নাটক প্রতিদিন চলছে। সংবাদ খুললেই দেখা যায় দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি আত্মপক্ষ সমর্থন করে দাবি করছেন “আমি নির্দোষ।” শিক্ষা থেকে চিকিৎসা, প্রশাসন থেকে ব্যবসা সবখানেই মিথ্যা সত্যের মুখোশ পরে হাজির হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম প্রকাশ পেলে কর্তৃপক্ষ বলেন “আমরা জনগণের কল্যাণেই কাজ করছি।” অথচ ভেতরে চলছে স্বার্থের লেনদেন।
ভোর থেকে রাত, ঘাম ঝরে দিক দিয়ে,
মালিকের দাবি “আমি সবসময় ন্যায় করি,”
তবু চোখে জল, ক্ষুধার্ত শিশু ঘরে,
সত্যের মুখোশে মিথ্যা চলে স্বাভাবিক।

সত্যের মুখোশ কতদিন টেকে?
এখানে বড় প্রশ্ন হলো এই নাটক কতদিন টেকে? ইতিহাস বলে, দীর্ঘদিন নয়। সত্যকে সাজিয়ে রাখা যায়, কিন্তু তাকে গোপন রাখা যায় না। যেমন পানির তলায় রাখা বেলুন একসময় জোরে ভেসে ওঠে, তেমনি মিথ্যার আড়াল ভেদ করে সত্য একদিন প্রকাশিত হয়। অতীতের স্বৈরশাসক, মিথ্যাবাদী নেতা কিংবা অপরাধীদের ইতিহাসে জায়গা হয়েছে লজ্জাজনক অধ্যায়ে। তাদের মুখোশ টেকেনি।
মিথ্যা যতই লুকানো হোক অন্ধকারে,
সত্যের আলো একদিন বের করে তার ছায়া,
মঞ্চে সত্যের মুখোশ পড়ে থাকতে পারে,
কিন্তু আলো সব মিথ্যা উড়িয়ে দেয় আকাশে।

সত্যবাদী সাজ নয়, সত্যবাদী হওয়া জরুরিঃ
মানুষের প্রকৃত মুক্তি সত্যবাদী সাজে নয়, বরং সত্যবাদী হয়ে ওঠায়। এজন্য দরকার-
নিজের ভুল স্বীকার করার সাহস।
সত্যকে সত্য হিসেবে মেনে নেওয়ার মানসিকতা।
সামাজিকভাবে সত্যবাদীদের মূল্যায়ন।
শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সত্যের চর্চা বৃদ্ধি।

সত্য বলো, ভুল স্বীকার করো সাহসের সঙ্গে,
মিথ্যার মুখোশ খুলে রাখো অন্ধকারের সঙ্গে,
এভাবেই সমাজ এগিয়ে যাবে নতুন পথে,
সত্যের আলো জ্বলে সবখানেই উজ্জ্বল পথে।

উপসংহারঃ
সত্যের মুখোশে মিথ্যার নাটক হাজার বছর ধরে চলছে, ভবিষ্যতেও চলবে। তবে প্রতিটি প্রজন্মের দায়িত্ব হলো এই নাটকের মুখোশ উন্মোচন করা। সমাজে ন্যায়ের আসল প্রতিষ্ঠা তখনই সম্ভব, যখন মানুষ সত্যের ভেতরে দাঁড়াবে, সত্যের সাজে নয়।
মিথ্যা যত শক্তিশালী হোক, একদিন সত্যের আলো তার মুখোশ খুলে দেয়। আর সেই আলোই সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

লেখক পরিচিতি: মোঃ মহসিন হোসাইন
লেখক, কলামিস্ট ও সাংবাদিক।
কেন্দ্রীয় সভাপতি – মানবতার ডাক সাহিত্য পরিষদ।

ফোকাস মোহনা.কম