চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য রফিক উল্লাহ কোম্পানীর দাফন সম্পন্ন

ছবি: শাহিরয়া পলাশ, ফোকাস মোহনা.কম।
চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য রফিক উল্লাহ কোম্পানী (৭০) দূর্বিত্তের ছুরিকাঘাতে শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে খুন হন। তবে কে বা কাহারা এই হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে, তা এখনো উদঘাটন হয়নি।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর)  সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করেন। দুপুরে শহরের নতুন বাজার কোম্পানী ঘাট নিজ বাড়ির সামনে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন বড় স্টেশন জামে মসজিদের খতিব মুফতি সিরাজুল ইসলাম।

নামাজে জানাযা পূর্বে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী,
চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মুনির আহমেদ, চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়ন মোহাম্মদ আলী মাঝি, চাঁদপুর জেলা আওয়াগী লীগ সদস্য ও বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারীর পরিচালনায় পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন তার ভাতিজা তন্ময়।

এসময় আরো উপস্থিত চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশীদ সর্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, স্বস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. হারুনুর রশীদ সাগর, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, চাঁদপুর জেলা যুুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু পাটওয়ারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাড. হেলাল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মোর্শেদ জুয়েল, চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর মো. ইউনুস সোয়েব, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী বাবুসহ আরো অনেকে।
ছবি: শাহরিয়া পলাশ।

বক্তারা বলেন, মরহুম রফিক উল্লাহ ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুরের প্রথম শহীদ হন তার বড় ভাই জাবেদ। এই পরিবার চাঁদপুরের একটি সুনামধন্য পরিবার। মুক্তিযুদ্ধের পরিবার। যদি কারো মনুষত্ব থাকে তাহলে একজন মুক্তিযোদ্ধা কে কেউ হত্যা করতে পারে না। এই নিশংস হত্যাকান্ডের আমরা ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাই। অতি দ্রুত প্রকৃত দোষীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে সকলে দাবী জানান।

পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের  ত্রান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, রফিক উল্লাহকে খুনের ঘটনায় হাসপাতাল থেকে কেয়ারটেকার মিরাজ কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়।
রফিক উল্লাহ চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার এলাকার মৃত. হেদায়েত উল্ল্যাহ কোম্পানীর ছেলে ও চাঁদপুরের প্রথম শহীদ জাবেদ এর ছোট ভাই। তিনি শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউটের সভাপতি ছিলেন।

ফম/এস.পলাশ/এমএমএ/

শাহরিয়া পলাশ | ফোকাস মোহনা.কম