মতলবের উপাদী ফসলি জমি থেকে অবৈধ ড্রেজিংয়ে চলছে বালু উত্তোলন

চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৬নং উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড করবন্দ এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম পাটওয়ারীর বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বের ফসলি জমি থেকে অবৈধ ড্রেজিংয়ে চলছে অবাদে বালু বিক্রি।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ এলাকার বিশাল একটি বিলের ফসলি জমি থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালি বিক্রি করছেন জমির মালিক। অথচ আশে পাশে অনেক ফসলি জমি রয়েছে। এভাবে বালি উত্তোলন অবৈধ জেনেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন জমির মালিক সেলিম চেয়ারম্যান এর বাড়ির মুকবুল পাটওয়ারী (মুকুল)। এতে আশেপাশের সকল ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়ছে। উক্ত স্থানটি মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষা একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছেন জমির মালিকরা।
এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এ জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সড়কের পাশে ১৯ শতাংশের একটি জমি ভরাট করা হচ্ছে। এর আগেও কয়েকটি জমি ভরাট হয়েছে একইভাবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও এলাকার মোঃ রফিকুল্লাহর মালিকানাধীন ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে আসছে। ড্রেজার মালিক রফিকুল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানান, এটি অবৈধ সেটা জানি। বৈধ অবৈধ হিসেব করলে অনেক কিছুই করা যায়। তবে জমির মালিকের পারিবারিক সমস্যার কারনে গত এক সপ্তাহ ধরে বালি উত্তোলন করতে পারিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জমির মালিক চাইলে আমি ড্রেজার উঠিয়ে নিয়ে চলে আসবো। এদিকে ভরাট হতে যাওয়া জমির মালিক হাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, আমার ১৯ শতাংশ জমি ৯ টাকা ফুটে ভরাট করে বাড়ি করার উপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছি। আজ থেকে বালি ভরাটের কাজ শুরু হলেও মেশিন কিছুক্ষণ চলে আবার বন্ধ হয়ে গেছে কেন তা জানি না।
এ বিষয়ে জমির মালিক মুকুল পাটওয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, আমি জানি এটা অবৈধ। তারপরও টাকার প্রয়োজনে নিজ জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করছি। উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা প্রধানীয়া বলেন, আমি খবর পেয়ে এখানে কয়েকবার গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। গ্রাম পুলিশ গেলে মেশিন বন্ধ রাখে এবং চলে আসলে পূণরায় চালু করে দেয়। প্রয়োজনে আবারো গ্রাম পুলিশ পাঠাবো। তবে এ বিষয়ে এসি ল্যান্ড মহোদয়কে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। এদিকে উক্ত এলাকাবাসী অবৈধ ড্রেজিং বন্ধ করে আশেপাশের ফসলি জমিগুলো রক্ষা করতে প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছেন।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেটু কুমার বড়ুয়ার মোবাইল ফোনে শুক্রবার বিকেলে কল দিলে রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম