চেয়ারম্যানের সাথে সচিবের আর্থিক লেনদেন, বদলীকৃত সচিবের বিড়ম্বনা

চাঁদপুর: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নে বদলির অফিস আদেশ এর পর যোগদান করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ইউপি সচিব মো. সুলতান মাহমুদ। তিনি যোগদান পত্র নিয়ে ওই ইউনিয়ন কার্যালয়ে চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়ার নিকট গেলে তিনি সরাসারি সচিব লাগবে না, আমার সচিব আছে, এমন কথা বলে বিদায় করে দেন। কারণ হিসেবে তিনি ওই ইউনিয়নে কর্মরত সচিব মো. খবির উদ্দিন এর সাথে আর্থিক লেনদেন আছে বলে উল্লেখ করেন।

সোমবার (৩০ মে) সকালে সুলতান মাহমুদ অফিস আদেশ অনুযায়ী যথা সময়ে যোগদান করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গত ২৫ মে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার ৪৬.৪২.১৩০০.০৩০.০৪.০৩৩.২২-৪৬৮ নং স্মারকে মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. সুলতান মাহমুদকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদে বদলী এবং ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. খবির উদ্দিনকে গজরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে বদলী করেন। বদলীর আদেশ অনুযায়ী ৩০ মে’র মধ্যে উভয় সচিবকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদারে জন্য বলা হয়।

চেয়ারম্যান স্বপন মিয়া বলেন, যোগদান করতে আসে ইউপি সচিব সুলতান মাহমুদ আগে আমার সাথে কোন যোগাযোগ করেননি। আমি উনাকে চিনিনা। আমার এখানে সচিব আছে। হঠাৎ করে কিভাবে উনাকে পরিবর্তন করবো। এই বিষয়ে আমি ডিসি মহোদয়ের সাথে কথা বলব।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান ইউপি সচিব খবির উদ্দিনের সাথে আমার আর্থিক লেনদেন আছে। সেসব লেনদেন শেষ না হলে উনাকে কিভাবে বিদায় দিব। এছাড়াও আগে যিনি ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন, তার সাথেও সচিবের লেনদেন আছে।

এই বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মো. সফিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, আমার সাথে ইউপি সচিব খবির উদ্দিন এর ব্যাক্তিগত কোন লেনদেন নেই। তবে তিনি (ইউপি সচিব) পরিষদের জন্মসনদের বড় অংকের সরকারি টাকা জমা দেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউপি সচিব বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ এর জন্মসনদের টাকা প্রতিমাসেই জমা দেয়ার কথা। কি কারণে ওই সচিব টাকা জমা দেননি। বিষয়টি তিনি বলতে পারবেন।
ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম