১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে চাঁদপুরবাসীর প্রাণের চতুরঙ্গ জাতীয় ইলিশ উৎসব

চাঁদপুর :  ‘ইলেশের বাড়ী চাঁদপুর’ নামে খ্যাত চাঁদপুর জেলা। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় সরকার সারাবছর বিভিন্ন সময়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকেন। সেই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনও পিছিয়ে নেই। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন গতবছর ১৫বছর যাবত ‘চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসব’ নামে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। ইলিশের উৎসবের রূপকার চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব হারুন আল রশিদ এ ইলিশ উৎসবকে জাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের রূপ দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরে ৭ দিনব্যাপী ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসব আগামী ১৫-২১ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে।

সোমবার (২৮ আগষ্ট) জাতীয় ইলিশ উৎসবের রূপকার ও মহাসচিব হারুন আল রশিদ সামাজিক গণমাধ্যম উৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচির ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
তিনি আরো জানান, ৭দিনব্যাপী ১৫তম জাতীয় ইলিশ  উৎসবে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।

ক্রমানুসারে ৭ দিনের চুড়ান্ত অনুষ্ঠান সুচি হচ্ছে,
প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় থেকে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। প্রথমে রংধনু সৃজনশীল নৃত্য সংগঠনের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। এরপর ‘মুক্ত ভাবনা’ আলোচনা সভা অনুষ্টিত হবে। যেখানে অংশ নিবে চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। মুক্তভাবনা আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে চাঁদপুর জেলা বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, ঢাকা জেলার বয়াতি গ্রুপের পরিবেশনা। পরে অতিথি পর্বে সুধীজনদের অংশগ্রহণে  ইলিশ বিষয়ক গোলটেবিলে বৈঠক অনুষ্টিত হবে এবং৷ ঢাকা জেলার নৃত্যরাগ একাডেমির পরিবেশনা দিয়ে সমাপ্তি হবে প্রথমদিনে কর্মসূচি।

ক্রমান্বয়ে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় শুরু হবে উৎসবের দ্বিতীয় দিনের সূচনা হবে। পরে মুক্তভাবনা আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিবে চাঁদপুর জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম। পরে চাঁদপুর উদয়ন সংগীত বিদ্যালয় ও বাউল শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনা শেষে অতিথি পর্ব-ইলিশ বিষয়ক “গোলটেবিল বৈঠক ” অনুষ্ঠিত হবে এবং ঢাকা জেলার কাদরী ডান্সগ্রুপের পরিবেশনা দিয়ে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির সম্পাতি হবে।

পর্যায়ক্রমে রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় সূচনা হবে উৎসবে তৃতীয় দিন। পরে মুক্ত ভাবনায় অংশগ্রহণ করবেন চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র। এরপরে লক্ষ্মীপুর জেলার লতিকা নৃত্যালয় ও সুরধ্বনি একাডেমির পরিবেশনাউ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সুধীজনদের অংশগ্রহণে অতিথি পর্ব-ইলিশ বিষয়ক “গোলটেবিল বৈঠক “। শেষে প্রিয়া বিশ্বাস, নাবিয়া মিতুল সঙ্গীত অনুষ্ঠান দিয়ে তৃতীয় দিনের উৎসবে সমাপ্তি হবে।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর রংধনু সৃজনশীল নৃত্য সংগঠনের পরিবেশনায় উৎসবের চতুর্থ দিনের সূচনা হবে। এরপর থাকব৷ ইলিশ বিষয়ক সংসদীয় বিতর্ক অনুষ্ঠান। চাঁদপুর নৃত্যধারা ও খাগড়াছড়ি জেলার ককবরক ডান্স একাডেমির পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরে সূধীজনদের অতিথি পর্ব-ইলিশ বিষয়ক “গোলটেবিল বৈঠক “। পরে কোলকাতার অতিথির শিল্পী পুনম মিত্র ও বিপাশা ধর বীনার গান দিয়ে উৎসবে চতুর্থ দিনের কর্মসূচির সমাপ্তি হবে।

প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় উৎসবের পঞ্চম দিনের সূচনা করা হবে। পরে ইলিশ বিষয়ক সংসদীয় বিতর্ক অনুষ্ঠান। পরে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল নৃত্যালয়ের নৃত্যানুষ্ঠান শেষে সূধীজনদের অংশগ্রহণে অতিথি পর্ব-ইলিশ বিষয়ক “গোলটেবিল বৈঠক ” অনুষ্ঠিত হবে। রকতে কোলকাতার শিল্পী প্রদীপ্তা ভট্টাচার্য্য, বিট্টু মন্ডল, মৌ দত্ত বসু ও অরিত্রিকা মুখার্জীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসবের পঞ্চম দিনের পর্দা নামবে।

যথারীতি বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় উৎসবের ষষ্ঠ দিনের সূচনা হবে। এরপর চাঁদপুরের অন্যতম নারী উদ্দ্যোক্তা সংগঠন ‘আমরা আলোকিত নারী’ সংগঠনের পরিবেশনায় ইলিশ রেসিপি প্রদর্শন করা হবে। এছাড়াও উৎসবে সাতদিনই এই সংগঠনের পরিবেশনায় একটি ব্লক থাকবে। যেখানে ইলিশ রেসিপি প্রদর্শন করা হবে। পরে ইলিশ বিষয়ক সংসদীয় বিতর্ক অনুষ্ঠান শেষে নারায়নগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ হাওয়াইয়ান গিটার পরিষদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিদিনের ন্যায় সুধীজনদের অংশগ্রহণে অতিথি পর্ব-ইলিশ বিষয়ক “গোলটেবিল বৈঠক ” অনুষ্ঠিত হবে। পরে রাতে ঢাকা জেলার রিপন ডান্স টিমের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উৎসবের ষষ্ঠদিনের সমাপ্তি ঘটবে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ইলিশ বিষয়ক সংসদীয় বিতর্ক দিয়ের সমাপনী দিনের কর্মসূচির সূচনা হবে। পরে চাঁদপুর নৃত্যাঙ্গন, ঢাকা জেলা নৃত্যবৃতি ও ড. অর্পন রক্ষিত এবং নিগার সুলতানা পপির গান পরিবেশনা শেষে সূধীজনদের অংশগ্রহণে অতিথি পর্ব-ইলিশ বিষয়ক “গোলটেবিল বৈঠক “। পরিশেষে কোলকাতার সুমন মন্ডল, সায়ন্তনী দত্ত, তৃষা দাস মন্ডল, মৌসুমী মতিলাল, অর্পিতা বিশ্বাস ও গোস্ট গোপাল দেবনাথ এর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের পর্দা নামবে।

চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব ও জাতীয় ইলিশ উৎসবের রূপকার এবং মহাসচিব হারুন আল রশিদ আয়োজিত উৎসবের কমিটির সদস্যদের সম্পর্কে জানান,

১৫ তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ (অব:) এম এ ওয়াদুদ।

সন্মানীত উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন লেখক ও সাংবাদিক কাজী শাহাদাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, ইয়র্ক ফ্যাশন বিসিক চাঁদপুরের চেয়ারম্যান সেলিম খান, শিক্ষাবিদ আলমগীর হোসেন বাহার, স্বর্নপদক প্রাপ্ত সমবায়ীমোঃ জসীম উদ্দিন শেখ, লেখক ও ছড়াকার ডাঃ পীযুষ কান্তি বড়ুয়া, সংস্কৃতিসেবী রোটাঃ মোঃ শবে- বরাত,  রোটাঃ মনিরুল ইসলাম, চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, নাট্য সংগঠক তপন সরকার, সংস্কৃতিসেবী ডাঃ মাসুদ হাসান, রোটাঃ তোফায়েল আহম্মেদ শেখ, জয়নাল আবেদীন জনু ও পরেশ মালাকার।

নির্বাহী পরিষদে রয়েছেন চেয়ারম্যানঃ অ্যাড. বিনয় ভূষন মজুমদার, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানঃ কৃষ্ণা সাহা, ভাইস চেয়ারম্যানঃ সাধনা সরকার, মহাসচিবঃ হারুন আল রশীদ, যুগ্ম মহাসচিবঃ মৃনাল সরকার, যুগ্ম মহাসচিবঃ তামীম আহমেদ সুমন, পরিচালক( সংগীত)অনিতা কর্মকার, পরিচালক(প্রশিক্ষন) শুভ্র রক্ষিত, পরিচালক (অনুষ্ঠান) শাহরিয়া পলাশ, পরিচালক( প্রকাশনা) মানিক দাস, পরিচালক (প্রচার) রাজীব চৌধুরী, পরিচালক( অর্থ) জসীম মেহেদী, পরিচালক (দপ্তর) মোঃ রাজীব চৌধুরী , পরিচালক (চারুকলা) মনির হোসেন মান্না, পরিচালক (সেমিনার) মেহেদী হাসান জীবন, পরিচালক(সম্প্রচার) এম এইচ বাতেন ও পরিচালক( নৃত্য) রাশেদুল রাব্বী।

অভ্যর্থনা পরিষদে রয়েছেন, আহবায়কঃ ইতুচক্রবর্তী, সচিবঃ মির্জা জাকির, দিদারুল আলম চৌধুরী, জি এম শাহীন, রাজন চন্দ্র দে, মোবারক শিকদার, উজ্জ্বল হোসাইন, কে এম মাসুদ, মিঠুন বিশ্বাস, ফরিদ হাসান ও এম আর ইসলাম বাবু।

আপ্যায়ন পরিষদে রয়েছেন, আহবায়কঃ কালাম আহমেদ, সচিবঃ সোলায়মান হোসেন নীরব, সুমনা বেগম সুমি, শারমীন আক্তার জুঁই, নাজনীন আকতার ও  আফজাল রশীদ শান্তু।

অনুষ্ঠান সমন্বয়কারীতে আছেন, আহবায়কঃ শুভ্র রক্ষিত, সচিবঃ মোঃ রাজীব চৌধুরী, অনির্বান সাহা, প্লাবন ভট্রাচার্য, আরিফ খান, নোমান রেজা রিয়াদ, অনিক নন্দী, মোহাম্মদ মামুন, অর্পিতা ঘোষ রক্ষিত, মোনায়েম হোসেন অন্তু, মুন্না ঘোষ ও জয়ন্তী পাল।

হল ও মঞ্চ ব্যবস্থপনায় রয়েছেন, আহবায়কঃ মেহেদী হাসান জীবন, সচিবঃ রিপন সরকার, মোঃ সাহজাহান খান, রাকিবুল হাসান রাকিব, রাজীব সাহা, বাপ্পী চৌধুরী, মোহাম্মদ মোবারক, রোমানা মাহমুদ, কেয়া বর্মন, রফিকুল রাজু, ফাতেহা নদী, ইসরাত প্রীতি, নাজনীন মুন্নী, জাহিদ হাসান ও নাদিয়া।

ফম/এস.পলাশ/এমএমএ/

শাহরিয়া পলাশ | ফোকাস মোহনা.কম