হাজীগঞ্জে নারী উদ্যোগক্তার শীতের পিঠা উৎসব

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর): নাম তার দিয়া। দশম শ্রেণীর ছাত্রী। গেলা দুই বছর ধরে অনলাইন প্লার্টফর্মে ‘দিয়া কিচেন’ নামে নিজেকে তুলে ধরছে। বাবা প্রবাসে, মা গৃহিণী। পড়াশোনার পাশাপাশি দিয়া এখন একজন উদ্যোগক্তা।

‘নতুন ধানে নতুন প্রাণে, চলো মাতি পিঠা আর গানে ’ এমন শ্লোগন নিয়ে তিনদিন ব্যাপী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে দিয়ার মতো ১৬ নারী উদোক্তার আয়োজনে শীতের পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। এমন উৎসবের আয়োজক অনলাইন প্লাটফর্মে জেলা নারী উদ্যোগক্তাদের অন্যতম ইরা খান। তিনি ইশা পিঠা ঘর নামে পেইজ খুলে অর্ধশত বাহারী খাবার আইটেম নিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই অনলাইন প্লার্টফর্ম থেকে মাসে আয় তার কয়েক হাজার টাকা।

শীতে পিঠা উৎসবে ১৬ নারী উদ্যোগক্তার মধ্যে রয়েছে, ইশার পিঠা ঘর, সাজদা দি কেক স্টোরি, শিউলী ফ্যাশন, আফরোজা কিচেন, নবান্ন পিঠা ঘর, মাওয়া পিঠা ঘর, মন্ডা পার্বণ, গোলাপ ঘর, দিয়া কিচেনসহ আরো কয়েকটি স্টল।

উল্লেখযোগ্য পিঠাগুলোর মধ্যে রয়েছে মুগ পিঠা, নকশী পিঠা, ইলিশ পিঠা, চিংড়ি পিঠা, নারকেলপুর, শাহী ভাপাপিঠা, ঝিনুক পিঠা, তিলের পিঠা, রঙ্গিলা পাটিসাপটা ও চিকেন ঝাল পিঠা ভাপা রোল, ঝাল কদম, তালের কোন পিঠা, জামাই পিঠা, ডিম সুন্দরী, পুয়া পিঠা, তিলে ডোনাট, লাচ্ছা পিঠা, পাটিসাপটা, চিতই পিঠা ও পাকন পিঠা সহ নানান পিঠার সমাহার।

সরজমিনে গিয়ে কথা হয় নবান্না পিঠা ঘরের পরিচালক শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের সাথে। তিনিও শিক্ষকতার পাশাপাশি পুরোনো দিনের পিঠা নিয়ে এসেছেন শীতের পিঠা উৎসবে। তিনি বলেন, প্রতি বছর এমন উৎসব হলে নতুন প্রজন্ম পিঠাগুলোর সাথে পরিচিত হতে পারবে।

শীতের পিঠা উৎসবের আয়োজক ইরা খান বলেন, ১০ টি পিঠার অর্ডার নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। এখন দৈনিক শত শত পিঠার অর্ডার পাই। নতুন নতুন উদ্যোগক্তাদের নিয়ে প্রতিবছর পিঠা উৎসব করতে চান তিনি।

তিন দিনের শীতের পিঠা উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখবেন কন্ঠশিল্পী নন্দিতা দাসসহ আরো কয়েকজন। প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।

ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম