জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কুমড়ার কম-বেশি আবাদ হলেও হাজীগঞ্জের ডাকাতিয়া নদী এলাকায় পলিমাটি ঘেরা বলাখলা ও শ্রীনারায়ণপুর, অলিপুর গ্রামে চাষ করা হয়েছে মিষ্টি কুমড়া। সাধারণত গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করা হয়। এবছর এলাকায় মিষ্টি কুমড়ার পাশা-পাশি খিরাই ও শসার আবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভালো।
হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, মৌসুম ভিত্তিক নিরাপদ শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল আবাদে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের নিয়মিত উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ অঞ্চলের মাটি অপেক্ষাকৃত উর্বর। তাই শাকসবজি আবাদে সময়, শ্রম ও খরচ কম হওয়ায় প্রতি বছরই মিষ্টি কুমড়ার আবাদ বাড়ছে। এ বছর উপজেলার প্রায় ৬১৮ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে।
কৃষকরা জানায়, চলতি মৌসুমে বলাখাল, শ্রীনারায়নপুর গ্রাম জুড়ে চাষাবাদ করা হয়েছে হাইব্রীড জাতের কুমড়া। এ কুমড়া এখন বিক্রয় হওয়ার সময়। প্রতি বছর এ সময়ে জমিনের প্রায় ৬০ ভাগ কুমড়া বিক্রি হয়ে যায়। এ বছর কুমড়া আবাদ করে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। কারণ কুমড়া জমিতে পেঁকে রয়েছে নেই কোন পাইকার।
বলাখাল এলাকার কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর এ সময়ে ঢাকার কারওয়ান বাজার, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালি ও লক্ষীপুর থেকে পাইকার এসে উৎপাদিত কুমড়াগুলো কিনে নিতেন। এ বছর পাইকারদের দেখা নেই। ফলে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। যদি আর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কুমড়াগুলো বিক্রয় করতে না পারে তাহলে মাঠে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব হবে না।
অলিপুর গ্রামের কৃষক ছিদ্দিক বলেন, প্রতি বছর ‘উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে আমাদের চিন্তা করতে হতোনা। বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে জমি থেকে কিনে নিতো। প্রতি পিচ কুমড়া ৫০ থেকে ১০০টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছে। এবার কুমড়ার বাজার দরতো নেই, পাইকারো নেই। স্থানীয় বাজারে ৬ থেকে ৭ কেজি ওজনের একটি কুমড়া ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রয় করছি। তবুও ক্রেতা পাচ্ছিনা।