চাঁদপুর : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ গেল বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, লুটপাট ও কর্মচারিকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আরও ৩ আসামীকে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার আসামীরা আত্মসমর্পন করে জামিনের আবদেন করলে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামীরা হলেন-হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম (৪৮), পৌরসভার মোল্লা বাড়ীর শাহজাহান মোল্লার ছেলে শরীফ মোল্লা (৩২) ও ৮নম্বর ওয়ার্ড টোরাগড় এলাকার দুলাল কাজীর ছেলে রাজু কাজী (২৯)।
এর আগে একই আদালতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি একই মামলার ৫ আসামীর জামিন না মঞ্জর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বিচারক। আসামীরা হলেন-মহিন উদ্দিন (২৫), রাসেল ওরফে গোদা রাসেল (৩০), শুকু ওরফে শুকুর আলম (৪৮), আদর কাশারী (২০) ও রায়হান কাশারী (২৫)। আসামীরা হাজীগঞ্জ উপজেলার শ্রমিকলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
মামলার বিবরন থেকে জানাগেছে, গেল বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার মেসার্স মার্সেল (ইলেকট্রোল্যান্ড) নামক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবী, পরবর্তীতে ভাংচুর, লুট ও কর্মচারিদের হামলা করে আহত করে। এতে প্রতিষ্ঠানের তিনটি ফ্লোরের ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৭১০টাকার মালামাল লুট ও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এই ঘটনায় ২০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মিজানুর রহমান সেলিম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ৭৪জন নামীয় ও ১০০-১৫০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
মামলার এজহার নামীয় উল্লেখিত ৩ আসামী গত চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। ওই ৬সপ্তাহ শেষ হলে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চাঁদপুর জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সরকার পক্ষের আইনীজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. কুহিনুর বেগম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি কুহিনুর বেগম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট বাবর বেপারী, অতিরিক্ত এপিপি শামসুল ইসলাম মন্টু ,এপিপি হারুনুর রশিদ, এপিপি নুরুল আমিন খান আকাশ, এপিপি ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম ও এপিপি মোজাহিদুল ইসলাম সাদ্দাম। আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শফিকুল ইসলাম ভুইয়া ও সৈয়দ মুস্তাফা জিলানী।
ফম/এমএমএ/