
চাঁদপুর : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা সদরের মকিমাবাদ এলাকার অটোরিকশা চালক আরমান হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান দুই আসামী শুক্কুর আলম (৩০) ও মো. সবুজকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশেন (পিবিআই) চাঁদপুর।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে শহরের বাবুরহাট পিবিআই জেলা কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ।
গ্রেফতার আসামী শুক্কুর আলম হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে এবং সবুজ একই উপজেলার পশ্চিম হাটিলা ইউনিয়নের কাঠালী গ্রামের পূর্ব দিঘীর পাড় মো. শাহ জালাল বেপারীর ছেলে।
পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল জানান, ৬ নভেম্বর বিকেলে হাজীগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন হাজীগঞ্জ টু তারাপাল্লা সড়কে জনৈক আবু তাহেরের জমিতে বালুর স্তুপে একটি মরদেহ লুকায়িত আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি ও সঙ্গীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বিষয়টি জানতে পেরে উপস্থিত হন পিবিআই কর্মকর্তারা। পরে অটোরিকশা চালক আরমানের পিতা ও স্বজনরা তার মরদেহ শনাক্ত করেন।
এর আগে ৩০ অক্টোবর দিনগত রাতে আরমান নিখোঁজ হয়। এরপর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বুধবার (১ নভেম্বর) হাজীগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরী (নং-৪৫) করে তার বাবা। গত সোমবার (৬ নভেম্বর) তার মরদেহ উদ্ধার হয়। নিখোঁজের পর ৬ নভেম্বরের মধ্যে যে কোন সময়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে আসামীরা আরমানকে হত্যা করে।
এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত দেয়া হয় পিবিআই চাঁদপুর কার্যালয়ের উপ-পুলিশ পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম মীরকে। তিনি একটি বিশেষ টিম গঠন করে আসামীদের নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন এবং তাদের দেয়া তথ্যে শাহরাস্তি উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের একটি গ্রেজ থেকে অটোরিকশা উদ্ধার করেন। একই সাথে আরমানকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ইট ঘটনাস্থল এলাকার একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেফতার দুই আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় পিবিআই চাঁদপুর কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফম/এমএমএ/