হাজীগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ২৮ জন

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর): চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ২৭৪৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৭২২ জন, অনুপস্থিত ছিল ২৭ জন এবং বিএমটি পরীক্ষায় ৫২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫২৬ জন, অনুপস্থিত ছিল ১ জন শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়। রোববার (৩০ জুন) এইচএসসি বাংলা (আবশ্যিক) ১ পত্র ও বিএমটি শিক্ষার্থীদের বাংলা-২ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, উপজেলার ৭টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও একটি কেন্দ্রে বিএমটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষায় হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ১১৩২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১১২৫ জন, অনুপস্থিত ছিল ৭ জন শিক্ষার্থী। হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ২২৬ জনের মধ্যে ২২৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, অনুপস্থিত ছিল ৩ জন শিক্ষার্থী।

বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ৭৫৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৭৫২ জন, অনুপস্থিত ছিল ৫ জন। ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ১৭৫ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭২ জন, অনুপস্থিত ছিল ৩ জন শিক্ষার্থী।

কাকৈরতলা জনতা কলেজ কেন্দ্রে ১১৮ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১১৪ জন, অনুপস্থিত ছিল ৪ জন শিক্ষার্থী। নাসিরকোট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ১৫৮ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৫৭ জন, অনুপস্থিত ছিল ১ জন শিক্ষার্থী এবং দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ১৮৩ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১৭৯ জন, অনুপস্থিত ছিল ৪ জন শিক্ষার্থী।

অপর দিকে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিএমটি পরীক্ষায় ৫২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫২৬ জন, অনুপস্থিত ছিল ১ জন শিক্ষার্থী। উল্লেখ্য, টানা ও অতিবৃষ্টি, বন্যা, জলাবদ্ধতা কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেট বিভাগের এইচএসসি, মাদ্রাসা ও কারিগরি (বিএমটি) পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল বলেন, আমাদের ৭টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এইচএসসি ও একটি কেন্দ্রে বিএমটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমিসহ ভিজিলেন্স টিম পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন। এর আগে পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়।

তিনি জানান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের জন্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না, এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন। এসব বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।

ফম/এমএমএ/

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম