
হাইমচর (চাঁদপুর): নিয়ম নীতির তোআঁকা না করে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার কাটাখালী নদীর পাড় এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল বালু মহাল। একই সঙ্গে বিভিন্ন নৌ জাহান থেকে বালু তীরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্মান করা হয় জেটিও। এর ফলে চরম হুমকির মুখে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের অংশবিশেষ ও মেঘনা নদীর ভাঙন হতে সংরক্ষণ করা নদী তীর।
বর্তমানে ফাইলিং করে যেটি নির্মাণের কারণে, জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ও সিসি ব্লক ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থায় স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতংক।
জানাগেছে, স্থানীয় এলাকাবাসী রোববার (৩ নভেম্বর) গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ পানি উন্নায়ন র্বোড চাঁদপুর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর নদী রক্ষাবাঁধ রক্ষা করার প্রসঙ্গে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর অনুলিপি দেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ ও হাইমচর প্রেসক্লাব সভাপতি বরাবর।
স্থানীয় শফিউল্লাহ তপদার জানান, কাটাখালী লঞ্চঘাটের পাশেই নদী ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী জাকির হোসেন বাবলু নামে একব্যক্তি অবৈধ্য ভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করায়, নদী রক্ষা বাঁধ ধসে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, মেঘনা নদী রক্ষাবাঁধের উপর কাটাখালী বাজারের উত্তর-পশ্চিম দিকে “মেসার্স মদিনা ট্রেডার্স নামে মোঃ জাকির হোসেন বাবলুর একটি প্রতিষ্ঠান সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজিং এর মাধ্যমে বালু উত্তোলন পূর্বক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ফলে সারাক্ষণ উক্ত বালু থেকে পানি নিষ্কাশন হয়ে নদী রক্ষাবাঁধের উপর দিয়ে পানি মেঘনা নদীতে প্রবাহিত হয়ে থাকে। উক্ত কারণে বর্ণিত নদী রক্ষাবাঁধটি খুবই হুমকির সম্মুখীন। তাছাড়া যে কোন সময়ে নদী রক্ষাবাঁধটি ধসে যেয়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে উক্ত স্থানের এলাকাবাসী খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।
চাঁদপুর পানি উন্নায়ন বোর্ড হাইমচর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমাম হাসান বলেন, ইতিমধ্যে আমি বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। সেখানে আমি যাবো এবং বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানাবো।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, আমার কাছে কাটাখালি নদীর পাড়ের স্থানীয় এলাকাবাসী এসেছেন এবং যারা মেঘনা নদী রক্ষাবাঁধের ক্ষতি করে বালু ব্যবসা করছেন তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফম/এমএমএ/