হাইমচর (চাঁদপুর): মালের হাট যুব সংঘের উদ্যোগে ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় এবারের পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ২৪৫০টি দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের মাঝে ৭০টি গরু কোরবানী করে ২ কেজি করে মাংস বিতরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে হাইমচর উপজেলার ৪টি স্থান (নীলকমল মালেরকান্দি, হাইমচর সরকারি কলেজের মাঠ, ইশানবালা এবং চরভৈরবী আমতলী ঘাট) থেকে এসব মাংস বিতরন করা হয়।
গরুগুলি জবাই করে মাংস প্রস্তুতকরণ, ওজন করে প্যাকেট করা এবং বিভিন্ন বিতরণ কেন্দ্রে পৌঁছানো হয় নীলকমল ইউনিয়নের মালেরকান্দি গ্রাম থেকে। মাংস বিতরণ অনুষ্ঠান গুলিতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি, উপজেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি, স্থানীয় জন প্রতিনিধি, মালের হাট যুব সংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারগুলি ২ কেজি মাংস পেয়ে খুশি ও আনন্দিত।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে ইংলাল্ডের বার্মিংহামে কার্যক্রম শুরু করে। সংস্থাটি বাংলাদেশসহ বর্তমানে বিশ্বের ৪৫টি দেশে কাজ করছে। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারে ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রন্থদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তার মাধ্যমে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে।
ইসলামিক রিলিফের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কার্যক্রমের মধ্যে দরিদ্র্যপীড়িত মানুষের মধ্যে কোরবানীর মাংস বিতরণ করা একটি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম। ২০১০ সাল থেকে (প্রায় ১৫ বছর) মালের হাট যুব সংঘের মাধ্যমে হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এ পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ৬২৩টি গরু কোরবানী দিয়ে প্রায় ২৯ হাজার পরিবারের মধ্যে ২ কেজি করে মাংস বিতরণ করে আসছে। হাইমচর উপজেলাটি বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রন্থ উপজেলার মধ্যে একটি। প্রয়োজনের তুলনায় প্রাপ্তি নিতান্তই কম, তবুও যে সকল পরিবারগুলি ঈদে ২ কেজি মাংস পায় তাদের জন্য এটি উপকারী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথি ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশকে এ দারিদ্র্যপীড়িত এলাকার জন্য আগামীতে বরাদ্দের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করার জন্য অনুরোধ জানান।
ফম/এমএমএ/