হাইমচর (চাঁদপুর): চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার দূর্গাপুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সহ নেতৃবৃন্দ।
হাইমচর উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দির দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের তেলির মোড় বাজার শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে দুর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। এসময় পূজার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এই দুই কর্মকর্তা।
রবিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার চাঁদপুর উপ পরিচালক শাহ্ আরমান আহমেদ, চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সভাস চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান তমাল ঘোষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, হাইমচর থানার ওসি মোঃ ইয়াসিন সহ কর্মকর্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। উপস্থাপনা করেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অজয় কুমার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হচ্ছে সেই বাংলাদেশ যেখানে মুসলিমরা নামাজ পড়বে, হিন্দুরা তাদের মন্দিরে পূজা করবে খৃস্টানরা গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করবে। যার যার ধর্ম সে সে সর্বোচ্চ মাত্রায় পালন করবেন। কিন্তু কেউ কাউকে বাধা দিবেন না। কিন্তু এর মধ্যে আবার অনেক সময় সমস্যায় পড়ে যাই কিছু দুষ্টু লোকজন আমাদের ঝামেলায় ফেলে দেয়। তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। তাদেরকে রোধ করতে আমাদের ৪ স্তরের নির্রাপতা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পূজা নিরাপত্তায় আপনারা সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং এ ব্যবস্থায় সর্বশেষ স্তর হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এই হাইমচর উপজেলার পূজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দ যারা আছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা এই প্রত্যেক মন্দিরে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েছি। আমাদের যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুহূর্তে দিয়ে থাকি তার মধ্যে দুর্গাপূজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। আমরা জেলা পুলিশের গত পরশুদিন ব্রিফিং অনুষ্ঠানটি করেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, সেখানে যারা সনাতন ধর্মীয় পুলিশ ছুটি চেয়েছে তাদের সবার ছুটি মঞ্জুর করেছি এবং সকল মুসলিম পুলিশ সদস্যদের ছুটি বাতিল করেছি। তারা কিন্তু এই ত্যাগ স্বীকারটি করেছেন পুরো জেলা সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এবং আমরা এ বছর প্রতিটি মন্দিরে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছি। পুরো জেলায় প্রতিটি মন্দিরে আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি। আপনাদের রাত জেগে তারা পাহারা দিচ্ছে। এই উৎসবের সকল শ্রেণীর পেশার মানুষেরা অংশগ্রহণ করে তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সার্বক্ষণিক তাদের সাথে আছি এবং পাশে আছি।
ফম/এমএমএ/