রবিবার (১৭ অক্টোবর ) সকালে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ২ নং উঃ আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমেদ দুলাল পাটোয়ারী সকালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তার (ট্যাগ অফিসারের) উপস্থিতিতে ২০ কেজি চাল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়।
পুরো বস্তা খুলে জনপ্রতি ১৬ থেকে ১৭ কেজি করে বালতি দিয়ে চাল দেয়। এতে জেলেরা জানান, আমাদের ২০ কেজি করে চাউল দেওয়ার কথা থাক আমাদের ১৬ কেজি করে চাউল দেয়, আমরা কিছু বলতে গেলে আমাদের উপর ক্ষেপে ওঠে এর মধ্যে জেলেদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষুব্ধ জেলেরা ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদের অবহিত করে।
জানা যায়, রবিবার (১৭ অক্টোবর) ইউপি শ্রমিকরা সরকারি ইনটেক ৫০ কেজি ওজনের বস্তা খুলে জেলেদের বস্তায় ওজন মাপা যন্ত্র ছাড়াই বালতি দিয়ে মেপে জেলেদের বস্তায় ভরে দেন।
৫ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মিজান ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ বাবুল মিজি ৩নং ওয়ার্ড ইমাম হোসেন বিভিন্ন খরচ নির্বাহের জন্য মৎস্য ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ৪ কেজি করে কম দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন দুলাল পাটোয়ারী, বলেন ৪ কেজি চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা জনপ্রতি জেলেকে ২০ কেজির পরিবর্তে ১৬ কেজি চাল বিতরণের করছি। চাল ঘাটতি, শ্রমিকদের মঞ্জুরী ও কার্ড বঞ্চিত হতদরিদ্র দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৪ কেজি করে কম দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান তার উপস্থিতিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কার্ডধারী জেলেদের ২০ কেজি করে চাল দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান কম দিয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই।
২ নং উঃ আলগী ইউনিয়নের জেলেরা জানান, আমরা চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কাছ মৌখিক অভিযোগ করবো এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরীরকে জাননো হবে বলে জানিয়ে ছেন। এ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান জেলেরা।
অপরদিকে চাঁদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলে প্রতিনিধি মানিক দেওয়ান জানান, জেলেদের ৪ থেকে ৫ কেজি করে চাল কম দেয়ায় আমি দুঃখ প্রকাশ করি এবং এবিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি করছি ।
ফম/এমএমএ/