
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ স্থান পরিদর্শন ও ব্যবসায়ীদের খোঁজ নিতে হাইমচরে ছুটে যান চাঁদপুর জেলা ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দ।
২৪ মার্চ সকালে হাইমচরের চরভৈরবী বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের খোঁজ নিতে ২৫ মার্চ শুক্রবার সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ মোঃ জয়নাল আবদিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ছুটে যান ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সেক্রেটারী কেএম ইয়াসীন রাশেদসানী, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাহবুব ইমরান মাসুম, সহকারী অর্থ সম্পাদক আসাদুল্লাহ সুমন, জেলা যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম নিজাম, জেলা শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক টিএম মাহদী হাসান, জেলা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহা.সেলিম হোসাইন, জেলা যুব আন্দোলনের প্রকাশনা সম্পাদক শাহীন খান, সদর উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সহ-সভাপতি আবুল হাসানাত, হাইমচর উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ডাক্তার শফিউল্লাহ, নির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম, মোঃ রুহুল আমিন, উপজেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি নুরুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী আন্দোলন জেলা প্রতিনিধি দল চরভৈরবী বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে অগ্নিকান্ডের কারন ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কথা বলে সমবেদনা প্রকাশ করেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ মোঃ জয়নাল আবদীন বলেন, অগ্নিকান্ডে যে পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠা স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের জন্য অনেকটাই কঠিন বিষয়। পুড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীগণ তাদের চোখের সামনেই সাজানো প্রতিষ্ঠানের পুড়তে থাকার দৃশ্য দেখেছে। আজ তারা পুড়ে যাওয়া সম্পদের ছাঁই দেখছে। এটা তাদের জন্য অনেক বেদনার বিষয়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণে সহায়তা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
আমরা চাই তাদের এই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রতিনিধিগণ রাষ্ট্রীয় সহায়তা প্রাপ্তির যথাযথ ব্যবস্থা করবে।
তিনি উপস্থিত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনগণের জান-মাল রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুষম বন্টনের মাধ্যমে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে। আমরা আমাদের সাধ্যানুযায়ী সহযোগীতা করতে চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ
আমরা উপার্জিত অর্থের কর, ভ্যাট, টেক্স প্রদান করে সরকারি কোষাগার ভারি করি। আমাদের বিপদের সময়ে সরকারের উচিৎ সেই অর্থ থেকে সহায়তা করা। আমরা চাই সরকারের স্থানীয় প্রতিনিধিগণ আপনাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সহায়তা করুক।
তিনি আরো বলেন, গতকাল অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে হাইমচর উপজেলা নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষনিকভাবে পরিদর্শন করেন এবং আমাদের অবগত করেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনমানুষের কল্যাণে সামর্থানুযায়ী সহযোগীতা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে আসছে। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবো। এটা আমাদের সকলের মানবিক দায়িত্ব। আমরা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে যদি দাঁড়াই, তাহলে যেকোনো সমস্যাই সম্মিলিতভাবে সমাধান করা সম্ভব। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা করুন। তারা যেন ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।