চাঁদপুর : চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী গ্রামের চিহ্নিত মাদক কারবারি মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ওরফে কানা জাসিমের বিরুদ্ধে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীদের পক্ষে একই এলাকার মো. শহিদ মিজির ছেলে মো. শরীফ হোসেন।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে ৬০জন ভুক্তভোগীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন মো. শরীফ হোসেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৬ জুন চাঁদপুর প্রেসক্লাবে হাইমচরের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী কানা জসিম ও তার সহযোগী মাদক ব্যবসার অর্থদাতা মো. ফরিদ আহম্মেদ যেসব তথ্য তুলে ধরেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়া। তাদের এসব মিথ্যা তথ্যের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
মূলত কানা জসিমের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি মাদক মামলা রয়েছে। মূলত সে এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। একই সাথে তার মাদক ব্যবসায় আত্মীয় স্বজন অনেকেই জড়িত। অনুসন্ধান করলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসবে।
শরীফ হোসেন বলেন, মূলত আমরা হাইমচর দক্ষিণ আলগী গ্রামের একটি বিদ্যালয় স্থাপন করি। ওই বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরা থাকায় কানা জসিমের মাদক কারবার চালাতে সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে ক্যামারে সরিয়ে নিতে সে আমাদের বহুবার হুমকি ধমকি দেয়। তার অংশ হিসেবে জসিম আমার বোন জামাতা তাজুল ইসলাম ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং বানোয়াট কথা বলে সম্মানহানি করার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি কানা জসিমের সাথে মাদক নিয়ে মারামারি সংঘঠিত হয়। সেখানে জসিম নিজে নিজেকে আহত করে আমার বোন জামাতা ও তার ভাইকে মামলায় জড়াবার চেষ্টা করে। আমার বোন জামাতা শুধুমাত্র আমাদের কোন সমস্যা হলে বুদ্ধি ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেন। কিন্তু তারা আমার বোন জামাতাকে বিভিন্নভাবে হয়রানির চেষ্টা করছেন।
শরীফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে যেসব অভিযোগ তুলে ধরেণ তার মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে তার আপন জেঠা মো. সিরাজুল ইসলাম মিজির সাথে সম্পত্তিগত বিরোধ। গত তিন বছর ধরে এই বিরোধ অব্যাহত। এসব ঘটনায় আদালতে মামলাও হয়েছে। কিন্তু বিরোধ দীর্ঘ সূত্রিতায় সিরাজুল ইসলাম জমি বিক্রি করায় প্রতিপক্ষ বাড়তে থাকে। এসব ঘটনা কোনভাবে সমাধান না হওয়ার কারণে শহিদ মিজির প্রতিপক্ষরা জমিগুলো দখলে নিতে নানা পরিকল্পনা শুরু করে।
শরীফ হোসেনের অভিযোগ সম্পত্তিগত বিরোধে প্রতিপক্ষ লোকজন মাদক কারবারি কানা জসিমের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। তারা অর্থের বিনিময়ে কানা জসিমের সাথে চুক্তি করেন আমি ও আমার পরিবারের সদস্যকে হত্যা করার জন্য।
তিনি বলেন, আমরা রাহাজানি, মারামারি ও সংঘাত চাই না। আমি সংবাদ সম্মেলনে যত কথা বলেছি সবগুলোর তথ্য প্রমাণ আছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ আমাদের সম্পত্তির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে একটি স্থায়ী সমাধান করে দিক। একই সাথে এই মাদককারবারিদের জুলুম, নির্যাতন, জোরপূর্বক জমি দখলসহ সকল মিথ্যাচারের বিচার কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন। প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন মিলন, এএইচএম আহসান উল্যাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি রহিম বাদশাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শরীফ হোসেনের পিতা শহিদ মিজিসহ ভুক্তভোগীদের মধ্যে বহু নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
ফম/এমএমএ/