
–যুবক অনার্য
তোমার লগে দেখা নাই বহুদিন
শ্যাষবার দেখা হইসিলো
বলদা গার্ডেনের কাছে র্যাংকিন স্ট্রিট
তোমার লগে যে লোকটা আছিলো
হেই লোকটাই নাকি তোমার স্বামী
দেখতে ভালাই
মাথায় টাক
এইটা কুনু সমস্যা না
মেলা ট্যাকার মালিক
ট্যাকাই আসল কথা
তুমি সেই স্বামী লোকটার লগে
আমারে পরিচয় করাইতে গিয়া
কেমন যেনো একটু মেলান
হইয়া গেছিলা
তোমার অমন অসহায় চেহারা দেইখা
আমিই কইলাম- আমি রইসুদ্দি
গেরাম মাইন্নারচর
জরিনাগো গেরামের লগেই- কইতে পারেন পোরতিবেশি গেরাম।
উনি অবাক হইয়া জিগাইলেন:
জরিনা কে?
আমি ফাপড়ে পইড়া গেলাম
ভাগ্যিস তুমি কী মনে কইরা কইলা –
বাসায় আমাকে আদর করে
জরিনা বোলে ডাকতো।
উনি কইলো : ও মাই সুইট হার্ট
বড্ড মজা পেলাম জেনিস।
ভাবলাম জামাইয়ের ট্যাকা থাকলে
জরিনা হইয়া যায় জেনিস
কথায় কয় বড়োলকের বিরাট কারবার
জরিনারে জেনিস না বানাইলে
বিরাট কারবার ক্যামনে হইবো!
তোমার স্বামী ভদ্দরলোক
‘বাসায় আসবেন’
কইয়া আমার সামনেই
তোমার হাত ধইরা কইলো: জেনি
লেট হয়ে যাচ্ছে
হারি আপ।
আমি কিছু একটা কইতে নিসিলাম
কিন্তু তার আগেই তোমার হাত ধইরা
টাক মাথা ঝটকা টান মাইরা
তোমারে লইয়া উধাও হইয়া গেলো।
অই মুহুর্তে আমার মনে হইলো
ট্যাকা থাকলে ঝটকা টান
মারা যায় যখন তখন
ট্যাকা হইলো দুনিয়ার খোদা- কথাটা হাচাই।
তারপর বহুদিন কাইটা গেলো
দেখা হইলো না আর
দ্যাশে আছো না বৈদ্যাশে গেছোগা
কিছুই জানি না
আজ সকাল থেইকা তোমারে খুব
মনে পড়তাসে
খুব বেশি মনে পড়তাসে পুস্কুনির পাড়ে একদিন চান্নি পসর রাইতে
তোমার দুই হাতে আমার মুখ ধইরা কইসিলা- তুমি কি আমারে কুনু দিন
ছাইড়া চইলা যাইবা!
গেলে কিন্তু আমি তোমারে
ডাইরেক্ট খুন কইরা ফালামু।
আমি হো হো কইরা হাসতে হাসতে
কইসিলাম:
তোমার হাতে খুন হইলে শহীদ হমু
আর বাঁইচা থাকলে গাজী।
জরিনা, তুমি আমারে খুন করো নাই বোইলা আমার আর হইলো না
বাঁইচা থাকা
পুস্কুনির পাড়ে এখনও চান্নি পসর রাইত নামে
কেউ কাউরে খুন করে না
শুধু জরিনারা জেনিস হইয়া যায়
টাকারে খোদা বানাইতে না পারলে
ঝটকা টানের সুখ পাইবার আশায় রউসুদ্দিগো লইগা অপেক্ষা করে না
নরম কুনু হাত
রইসুদ্দি বাঁইচা থাকে হাঁটু ভাঙ্গা দ- এর
লাহান
জীবনভাঙ্গা হইয়া পুস্কুনির পাড়।