সুগন্ধায় জাহাজ বিস্ফোরণে নিখোঁজ চাঁদপুরের মাসুদুর রহমানের মরদহে উদ্ধার

চাঁদপুর: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি সাগর নন্দিনী-২’ নামে তেলবাহী জাহাজ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঁদপুরের মাসুদুর রহমান বেলাল সহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঝালকাঠির স্টেশন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি গনমাধ্যমকে বলেন, দুদিনে নিখোঁজ চারজনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন আর কারও নিখোঁজের খবর আমাদের কাছে নেই।

সকালে উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটি তেলের ট্যাংকারটির মাস্টার রুহুল আমিন খান ও ইঞ্জিন ড্রাইভার মাসুদুর রহমান বেলালের। আর বিকেলে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি ইঞ্জিন ড্রাইভার সরোয়ার হোসেন আকরামের বলে নিশ্চিত করেছেন স্বজনরা।

চাঁদপুরের মাসুদুর রহমান ওই জাহাজের ইঞ্জিন ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর থেকে জাহাজের ৪ জনের সাথে তিনিও নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ মাসুদ চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের বাগড়া বাজার সোবানপুর গ্রামের সাদিকুর রহমানের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে চাঁদপুর শহরের ছৈয়াল বাড়ি রোডে বাড়ীতে থাকতেন। মাসুদুর রহমান বেলাল দুই কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে মেডিকেলে এবং ছোট মেয়ে দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়েন।

মাসুদুর রহমান বেলালের বোন লতা জানান, আমার ভাই শনিবার (১ জুলাই) সকাল ৮টায় বাসা থেকে বের হয়ে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে সময় বাড়িতে ফোন করে জানান তিনি জাহাজে পৌঁছেছেন এবং নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খাবেন। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে অবস্থান করা একজনের কাছ থেকে আমরা জাহাজটিতে বিস্ফোরণের খবর পাই।
মাসুদুর রহমানের বড় মেয়ে নিশাত নীতি জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ঝালকাঠিতে আইনী পক্রিয়া শেষে আজ সন্ধ্যা ৬টায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। রাতে গ্রামের বাড়ী বাগাদীতে পৌঁছবে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টায় বাড়িতে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ বেলায়েত হোসেন বিল্লাল জানান, মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। পরবর্তী কার্যক্রম করার জন্য নিহতের পরিবারের সাথে যোগযোগ রয়েছে।

জানাগেছে, গত ১ জুলাই শনিবার দুপুর ২টার দিকে সুগন্ধা নদীতে ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাটের বিপরীত পাশে নোঙর করা অবস্থায় পদ্মা অয়েল কোম্পানির তেল বোঝাই ‘এমভি সাগর নন্দিনী-২’ জাহাজে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় ওই জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষের ওপরে থাকা মাস্টার ব্রিজটি পুরোপুরি ছিটকে নদীতে পড়ে যায়। তবে যে অংশে তেল রয়েছে, সেই অংশটি অক্ষত থাকায় নদীতে তেল ছড়িয়ে পরেনি।
ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম