
‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ, তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।’ এক মাস সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো পবিত্র রমজান মাস। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে আবার এলো খুশির ঈদ।
সোমবার (৩১ মার্চ) উদযাপিত হবে মুসলিম উম্মার সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এদিন ভোরে অজু-গোসল করে পবিত্র হয়ে নতুন বা পরিচ্ছন্ন পোশাকে আতর-খুশবু মেখে ঈদগাহ ময়দানে হাজির হবে শিশু থেকে বৃদ্ধ।
একসঙ্গে নামাজ আদায় করে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবেন মুসল্লিরা। ছয় তাকবিরে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মুসল্লিরা দুনিয়া-আখেরাত এবং দেশ-জনগণের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করবেন। এরপর সবাই কোলাকুলি করবেন।
এদিকে ঘরে ঘরে পড়বে রান্নার ধুম। সবার প্রথম চুলোয় উঠবে সেমাই, ফিরনিসহ নানান ধরনের মিষ্টান্ন। এরপর পোলাউ-কোরম বা বিরিয়ানি ও নুডলস। কেউ বা চটপটি-ফুচকার আয়োজনও করবেন। মিষ্টান্নের পর টক-ঝালের উপভোগ। পাড়া-পড়শীরা একে অপরের খোঁজ নেবেন। একে দাওয়াত করবেন অন্যকে। স্বজনরা বেড়াতে যাবেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি। সবমিলিয়ে আনন্দের জোয়ারে ভাসবে গোটা দেশ।
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপনে সারা দেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষই নিজ নিজ জায়গা থেকে যথাসাধ্য প্রস্তুতি নিয়েছেন।
ফম/এমএমএ/