চাঁদপুর: টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে মুসল্লিদের ওপর হামলা ও দেশের শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা এবং ইজতেমা মাঠ দখলের পাঁয়তারার বিরুদ্ধে চাঁদপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও শুরায়ি নেজামের দাওয়াতি সাথীগণ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বাদ আছর বায়তুল আমিন মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে শেষ হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি জানান।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভারতীয় নাগরিক সাদ কোনো আলেম না। তিনি আমেরিকা ও ইহুদিদের ইন্ধনে বাংলাদেশের তাবলীগ জামায়াতকে বিভক্ত করতে কাজ করছে। ভারতীয় মুসলিম বিদ্বেষীদের হয়ে ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে হামলা চালিয়ে দেশের শতশত আলেমকে রক্তাক্ত করেছিলেন। এমন কি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব, দেশের সর্বমহলের শ্রদ্ধেয় আলেম আব্দুল মালেকসহ দেশের শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা করেছে।
এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় তাবলীগ জামায়াতের শত বছরের ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করতেই সাদপন্থীরা কাজ করছে। বাংলাদেশের জনগণ এই ষড়যন্ত্র কোনো দিন মেনে নেবে না। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হলো তাবলীগ জামায়াত নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে। আর না হলে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সাদপন্থীদের যদি সঠিক বিচার না করা হয় তাহলে আমরা কঠিন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। এই সাদপন্থীদের তাবলীগ জামায়াতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ২০১৮ সালে তারা ইজতেমা মাঠে জঙ্গীদের মতো শোডাউন করেছে। তারা বর্তমানে ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদীদের মদদে অশান্তি সৃষ্টি করতে কাজ করছে।
এসময় হেফাজত ইসলাম চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও চাঁদপুর রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মুফতি সিরাজুল ইসলাম, মাওঃ মোহাম্মদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাহবুবুর রহমান, সদর থানা সভাপতি মাওলানা হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম, জেলা সদস্য শরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ওলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
ফম/এমএমএ/