
চাঁদপুর: মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরের একুশে চেতনায় উজ্জীবিত সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে একুশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জাগ্রত সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এর পৃষ্ঠপোষকতা এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শুরুতেই নৃত্যধারা, হাজীগঞ্জ সারদাদেবী সংগীত নিকেতন, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, রংধনু সৃজনশীল নৃত্য সংগঠন, নৃত্যাঙ্গন, সুরধ্বনী, সপ্তসুর, জয়ধ্বনি ও সংগীত নিকেতনের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সাঙস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল। তিনি বলেন, ৫২ তে স্বাধীনতার প্রসব বেদনা শুরু হয়। ৫২ ও ৭১ এটি পরস্পরের সাথে যোগসূত্র। ২১ কে কখন আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই।
মেয়র আরো বলেন, আমি বিশ্বাস সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো যে আদর্শকে ধারণ ও লালন করে রাজনীতির মাঠে এসে সে বিজয় ঘটে। সাংস্কৃতিক শক্তি কখন আপোষ করে না। যে সমাজে সাংস্কৃতিক শক্তি আপোষ করে সে সমাজে বিপর্যয় ঘটে। আপনাদের লড়াই আমি সাথে আছি। অত্যন্ত প্রতিকূলতার মধ্যে আজকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। সাধারণ মানুষ এধরনের আয়োজনের সাথে থাকবে।
সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এমআর ইসলাম বাবু’র সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর নির্বাহী সদস্য ও অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি শহিদ পাটোয়ারী, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব হারুন আল রশিদ, বিশিষ্ট ছড়াকার ডা. পিযুষ কান্তি বড়ুয়া প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, জাগ্রত সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহিদদের স্মরণে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহেরর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জাগরণী সঙ্গীত পরিবেশন করে চাঁদপুরের একুশে চেতনায় উজ্জীবিত সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
ফম/এমএমএ/