সম্মিলিত ভালো কাজে মানুষ অনেকদূর পৌঁছাতে পারে

জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে নদী ও সড়ক পথে নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালা

জনসচেতনার লক্ষ্যে নদী ও সড়ক পথে  এবং পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে বিষয়ক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ গোলাম কাউছার।

চাঁদপুর: জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে নদী ও সড়ক পথে নিরাপত্তা এবং পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মমালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর)  সকাল ১১টায় সিভিল সার্জন অফিসের সভাকক্ষে এ কর্মমালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক ও গণমাধ্যম কর্মীরা।

জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ গোলাম কাউছারের সভাপতিত্বে কর্মশালার মূল বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আশফাক আহম্মেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেডিকেল অফিসার ইছা রুহুউল্ল্যাহ।

অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউসুফ।পবিত্র কুরআন করেন তেলওয়াত আহসান হাবিব। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌর সভার সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা শাফি, বিষ্ণুদী আজিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জনসচেতনতা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সকল কাজেই নিয়ম-নীতি আছে। নিয়ম মেনে চললে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। আমাদের চারপাশে অসাবধানতার কারণে ছোট বাচ্চারা পানিতে ডুবে মারা যায়। এদের রোধ করতে মূলত সচেতনতাই বড় হাতিয়ার। সমাজে আমি এবং আমার চারপাশের মানুষকে নিয়েই চিন্তা করতে হবে। সম্মিলিত ভালো কাজ মানুষ অনেকদূর পৌঁছতে পারে। বক্তারা আরো বলেন,কোভিড ১৯ একটি সংক্রমন রোগ।এই রোগটি প্রতিরোধের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলো জনসচেতনা। সংক্রমিত রোগটি প্রতিরোধে দরকার ২ ধরনের পদ্ধতি। এক হলো নিজেকে অন্যের থেকে আড়াল করা এবং অপরটি হলো নিয়মিত মাস্ক পড়া। হাঁছি, কাশি রোধে তাৎক্ষণিক প্রতিশেদক গ্রহন করা।বর্তমান কোভিড ১৯ প্রতিরোধের এতমাত্র গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হলো টিকা গ্রহন করা। ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে আগে শারীরিক  বিষয়টা গুরুত্ব দিবেন।ভ্যাকশিন নিলে শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আপনার যে ভ্যারিয়েন্ট এর টিকার প্রথম ডোজ দিবেন, অবশ্যাই দ্বীতীয় ডোজ সেই ভ্যারিয়েন্ট এর দিবেন। উপজেলা পর্যায়ে ফাইজার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না।কারন এই টিকার মান ধরে রাখতে উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে হয়। আপনারা যারা বিদেশগামী আছেন তারা অবশ্যাই যে দেশে যাবেন ঐ দেশে কোন ভ্যারিয়েন্ট এর টিকা গ্রহণযোগ্য তা জেনে আপনারা নিবেন।

এ কর্মশালার আয়োজনে লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রোমোশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়নে সিভিল সার্জন চাঁদপুর।
ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম