
চাঁদপুর : খোরশেদ বকাউল। ৫৫ বছর বয়সী এই ব্যাক্তি ৪ কন্যা সন্তানের জনক। পেশায় কৃষক। আয়-রোজগার বলতে কৃষি ও পশু পালন। খুবই সহজ সরল প্রকৃতির হওয়ার কারণে খোরশেদের সামাজিক জীবন খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। ৫ বোন তার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে বসতি ঘড়ে তুলতে দিচ্ছে না। বোনরা নানাভাবে হয়রানি করছেন স্থানীয় সংঘবদ্ধ চক্রের সহযোগিতায়। খোরশেদ ৪ কন্যা সন্তানের মধ্যে একজন বিয়ে দিলেও ঘর না থাকায় বাকী ৩ কন্যা বিয়ে দিতে না পেরে খুবই অসহায়।
সরেজমিন চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নম্বর রামপুর ইউনিয়নের সকদি পাঁচগাঁও গ্রামের বকাউল বাড়িতে গিয়ে অসহায় খোরশেদ পরিবারের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে। খোরশেদ বকাউল বাড়ির মৃত ইউসুফ বকাউলের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, খোরশেদের পিতা ইউসুফ বকাউল ও তার চাচা ফজল বকাউল দেশ স্বাধীনের পর থেকে একই বাড়ীতে থাকেন। এই দুই ব্যাক্তি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি সম বন্টন করে ভোগ করে আসছেন। তাদের মধ্যে কোন ধরণের বিরোধ নেই। কিন্তু খোরশেদের পিতা ইউসুফ বকাউল জীবীত থাকা অবস্থায় দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর সন্তান খোরশেদ। পরের স্ত্রীর ৫ কন্যা সন্তান। ইউসুফ বকাউল মৃত্যুর পূর্বে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ১২.৫ শতাংশ, ছেলে খোরশেদকে ১২ শতাংশ জমি হেবা দলিল করে দিয়েগেছেন। এছাড়াও খোরশেদ তার বাবার কাছ থেকে ২.৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। তার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি ছিরো ৪৪ শতাংশ।
খোরশেদ জানান, আমি খুবই অসহায়। মেয়েদের বিয়ে দিতে পারছি না। কারণ আমার ৫ বোন আমাকে ঘর তুলতে গেলে বাধা দেয়। কারণ তারা বাবার মৃত্যুর পূর্বে একটি জাল দলিল তৈরী করেছেন। তাদের সাথে আমাদের স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট কাজ করে। বহুবার দেন-দরবার হলেও কোন কাজ হয়নি। আমি বোনদের এই ধরণের কাজ থেকে রক্ষাপেতে থানায়ও অভিযোগ করেছি। আমি প্রশাসনের কাছে কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা হিসেবে বিচার দাবী করি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, খোরশেদ বকাউলের ৫ বোনকে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন একই বাড়ীর হুসাইন বকাউলের ছেলে জহির বকাউল, স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজা বেপারী ও আরেক বখাটে মাঈনুদ্দিন। তাদের বক্তব্যের জন্য খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। তবে রাজা মেম্বার ৫ আগস্টের পরে আত্মগোপনে আছেন।
ফম/এস.এফ/