‘শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌছাতে হবে’

----- উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস

মতলব উত্তর (চাঁদপুর): চাঁদপুর-২ আসনের মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন প্রচারণায় এক মোটর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে মোটর শোভাযাত্রাটি উপজেলার সুজাতপুর বাজার থেকে বের হয়ে হরিণা, আনোয়ারপুর, বাগানবাড়ি, বদরপুর সোলেমান লেংটার মাজার, বেলতলী, কালীপুর, ষাটনল, বাবু বাজার, সটাকী হয়ে ছেংগারচর, গজরা, লুধুয়া হয়ে সাহেব বাজার পরে সুজাতপুর বাজারে এসে শেষ হয়। মোটর শোভাযাত্রায় তিন শতাধিক মোটরসাইকেল যোগে দলীয় নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।

শোভাযাত্রা শেষে সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় সুজাতপুর বাজারে বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের রুখে দিতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সুজাতপুর বাজার সহ আশপাশের এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। শোভাযাত্রা ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর-২ আসন থেকে নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএম কুদ্দুস। মোটর শোভাযাত্রা ফাঁকে বদরপুর বেলতলী হযরত শাহ সোলেমান লেংটার মাজার জিয়ারত করেন এমএ কুদ্দুস।

বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন, তা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌছাতে হবে। দেশের জনগণের মাঝে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে। এর অংশ হিসেবে আজকের এই কর্মসূচী। আমরা উন্নয়ন তথ্যযুক্ত প্লেকার্ড সহ মোটর শোভাযাত্রা করেছি। এতে করে মতলবের মানুষ সরকারের উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতন হবেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। জনগণকে সাথে নিয়েই আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসাবো। তাই আমারদেরকে মাঠে কাজ করতে হবে।
এমএ কুদ্দুস আরো বলেন, যখনই নির্বাচন ঘনিয়ে আসে তখনই দেশে বিএনপি জামায়াত নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে দেয়। শুধু তাই নয় আর্ন্তজাতিকভাবেও তারা ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বিশে^ আজ আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আমাদের নেত্রীকে সম্মান করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিভাবে বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন করেছেন, তা দেখতে আসে। এটা আমাদের বাঙালী জাতির জন্য অনেক গৌরবের বিষয়। তাই আমি বলব নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে ক্ষমতায় আসা যাবে না, ক্ষমতায় আসতে হলে জগণের ভোটে আসতে হবে। জনগণ চায় উন্নয়ন, জনগণ চায় শান্তি। তাই আসুন সকলে মিলে আগামী দিনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় এনে শেখ হাসিনাকে পঞ্চম বারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করি।

এমএ কুদ্দুস বলেন, চাঁদপুর-২ আসন থেকে আমি একজন নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি ছাড়াও আরো অনেক প্রার্থী থাকতে পারে। যাকেই আমাদের নেত্রী মনোনয়ন দিবেন, আমরা তার পক্ষেই কাজ করে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করবো। তবে আমার নৌকা প্রতীক পাওয়া বা এমপি হওয়াটা মুখ্য বিষয় নয়। আমার মুখ্য বিষয় হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলেই দেশে উন্নয়ন অব্যাহত রাখা যাবে। এবং একাত্তরের ঘাতক রাজাকারেরা দেশে অস্থিরতা অশান্তি সৃষ্টি করতে পারবে না। আমরা ভালো থাকতে পারবো।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ প্রধানের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান প্রধানের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, সদস্য ইঞ্জি. খোকন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোঃ শাহজালাল মাস্টার, দূর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুুরুজ্জামান সরকার দুলাল, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সুজন ভুইয়া, ছেংগারচর পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান প্রমুখ।

মোটর শোভাযাত্রা ও প্রতিবাদ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুল হাসান বাবু বাতেন, সুলতানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম খন্দকার, সুজাতপুর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুদ্দিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক এসএম জামাল উদ্দিন, উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য মোজাম্মেল হক, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন পাটোয়ারী, যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন শ্যামল, মাহবুব বেপারী, খোরশেদ সরকার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান জনি সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ফম/এমএমএ/

আরাফাত আল-আমিন | ফোকাস মোহনা.কম