শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ : শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর সদর উপজেলায় কৃষি প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

চাঁদপুর :  শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেছেন, এক সময় দেশে অনেক খাদ্য ঘাটতি ছিল। মানুষ খাদ্যে কষ্ট পেয়েছে। তখন দেশের মানুষের সংখ্যা কম ছিল কিন্তু ফসলের জমি বেশী ছিল। এখন জনসংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে। তারপরেও আমরা জমিগুলোতে শতভাগ উৎপাদন করছি এবং অনেক সময় শতভাগেরও বেশী হচ্ছে। তারপরেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ । আমরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বন্ধু দেশগুলোকে সহযোগিতায় পাশে দাঁড়াতে পেরেছি।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০২১-২২ অর্থ বছরের খরিপ-১/২০২২-২৩ মৌসুমে আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ১২০০জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে আউশ ধান বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন হাতটা হতে হবে দাতার হাত, গ্রহীতার হাত নয়। সব সময় দান করার কথা বলছেন। আমরা দেশ হিসেবেও এখন সেই নির্দেশনার দিকে যাচ্ছি। আল্লাহর রহমনে আমরা এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে স্থানে আসতে পেরেছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্যে আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন। তিনি বলেছিলেন পাকিস্তানিরা সব কিছু জালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিয়েগেছে। আমার মাটি আছে, আমার মানুষ আছে। আমাকে উক দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা অবশ্যই মাথা তুলে দাঁড়াব। ঠিক তাই হয়েছে।

দীপু মনি বলেন, শুধুমাত্র মাটি ও মানুষ থাকরে হবে না। সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে এবং সে আলোকে কাজ করতে হয়। জনগণের জন্য কোন সরকার কাজ করবে। যে সরকার জনগণের সরকার। সেই সরকারই জনগণের পাশে দাঁড়াবে এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়াবে।

তিনি বলেন, ২১ বছর পর যখন বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। তখন মাত্র ৫বছরে দেশকে খাদ্য স্বয়ং সম্পন্ন করে। এর কারণ হচ্ছে তিনি কৃষকের যা প্রয়োজন, সেগুলো তিনি দিয়েছেন। কিন্তু দু:খের বিষয় ২০০১ সালে যখন আমরা আর সরকারে থাকতে পারলাম না। তখনকার সরকারে যিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তিনি বলেছেন খাদ্য স্বয়ং সম্পন্ন হওয়া ভাল না। তাহলে বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যায়না।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা প্রমূখ।

সদর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সদর উপজেলা পরিষদ মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. কেফায়েত উল্লাহ।

আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে এ কর্মসূচির আওতায় পুরো জেলায় ১২হাজার ৫শ’ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রত্যেককে ৫কেজি আউশ ধান বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হবে।

ফম/এমএমএ/