চাঁদপুর: ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে ২০তম জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল ও প্রথমবারের মতো নারী ফুটবলারদের নিয়ে আন্ত:উপজেলা প্রমীলা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন ও খেলাগুলোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল উপকমিটির সম্পাদক আলহাজ¦ শাহির হোসেন পাটওয়ারী।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে এ দুটি টুর্নামেন্টের জন্যে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তারিখ নির্ধারণ এবং পরবর্তীতে ১২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। প্রথমে টুর্নামেন্ট উদ্ধোধন করার কথা ছিলো প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। অবশেষে শিক্ষামন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই দুটি টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন নিধারন করা হয়েছে ২৯ তারিখ। গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার চাঁদপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছ্ছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। সেই খেলার পুরুস্কার বিতরনের পূর্বেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাছান সহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল উপকমিটির নেতৃবৃদ্ধের সাথে আলোচনা শেষেই খেলার উদ্ধোধনের তারিখ চুড়ান্তভাবে নেয়া হয়। তবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল ( পুরুষ ) ও আন্তঃ উপজেলা প্রমীলা ফুটবল টুর্নামেন্ট একই দিনে উদ্ধোধন করা হলেও জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবলের খেলা শুরু হওয়ার ১দিন পর অথ্যা ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে প্রমীলা ফুটবলের খেলাগুলো শুরু হবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল উপ-কমিটির ব্যবস্থাপনায় ২০তম জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে দুপুর আড়াইটায় খেলবে জেলার শক্তিশালী উপজেলা দল ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলা। ১৯তম জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ফরিদগঞ্জ উপজেলা এবং রানার্সআপ হয়েছিলো চাঁদপুর সদর। গত কয়েকবছর ধরে দেখা যাচ্ছে একবছর পর পর কিংবা অনেকদিন পর জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলাগুলো শুরু হলেও জেলা সদরের দল তেমন কোন শক্তিশালি দল নিয়ে মাঠে নামতে। অপরদিকে বতর্মানে ফুটবল ও ক্রিকেটে জনপ্রিয় দুটি খেলাতেই ফরিদগঞ্জ উপজেলা শক্তিশালি দল নিয়েই জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায়ে তারা অংশ নিচ্ছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলারই সন্তান রেজা সাবেক বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন এবং বর্তমান জাতীয় ফুটবলার রাফিও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তান। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার দলটি বাছাইকৃত ফুটবলার নিয়েই খেলতে নামেন মাঠে। জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল ও প্রমীলা ফুটবলে অংশ নেবে জেলার ৮ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল দল।
এবারের জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপের চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ হাজার টাকা ও রানার্সআপ দলকে ২৫ হাজার টাকাসহ ট্রফি দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রমীলা দলের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের জন্যে রয়েছে নগদ অর্থসহ পুরস্কার। প্রতিটি উপজেলা দলে ৫ জন বিদেশি খেলোয়াড় ও বাকি ৬ জন স্থানীয় খেলোয়াড় খেলতে পারবেন। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা সহ বিভিন্ন দেশের যারা বর্তমানে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন দলের হয়ে খেলছেন তারাই বিভিন্ন দলের হয়ে খেলতে পারবেন। আর স্থানীয় ফুটবলাররা কোটা অনুযায়ী টুর্নামেন্টে বিভিন্ন উপজেলা দলের হয়ে খেলতে পারবেন। পুরুষদেও ক্ষেত্রে এক উপজেলার খেলোয়াড় অন্য উপজেলায় খেলতে পারলেও প্রমীলা ফুটবলারদের বেলায় নিষেধ রয়েছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে গত মাসে চাঁদপুর সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ ও এসএম মোসা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জেলা ক্রীড়া অফিসার তারিকুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী সদস্য সুভাষ চন্দ্র রায়, ফুটবল উপ-কমিটির সম্পাদক শাহির পাটোয়ারী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী নোমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সকল উপজেলার নির্বাহী অফিসার, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সুন্দরভাবে জেলা পর্যায়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট সুন্দরভাবে পরিচালনা সহ বিভাগীয় পর্যায়ে জেলা ফুটবল দল অংশ গ্রহনের লক্ষ্যে নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল উপ-কমিটির সভাপতি এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি পুলিশ সুপারের সাথে ২১ সেপ্টেম্বর মতবিনিময়ে অংশ নেয় জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল উপকমিটির নেতৃবৃন্দ।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুর সাথে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন উপলক্ষে এই প্রতিবেদককের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, টুর্নামেন্টের উদ্ধোধনের জন্য যে তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে আশা করি ওই তারিখেই খেলার উদ্ধোধন হবে। আমাদেও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু আপা উদ্ধোধনের তারিখে উনি এসে উদ্ধোধন করবে বলে আমাদেরকে সম্মতি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল ও প্রমীলা ফুটবল দলে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে ফিকশ্চারও চুড়ান্ত করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনের পরই ফিকশ্চারের তারিখ অনুযায়ী খেলাগুলো আমরা পরিচালনা করবো। আর প্রথম বারের মতো জেলাতে প্রমীলা ফুটবলের আয়োজন করা হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে। আন্তঃউপজেলা প্রমীলা ফুটবলে প্রত্যেক উপজেলা থেকেই নারী ফুটবলারদের নিয়ে দল প্রস্তুত চলছে বলে জানা গেছে। এবারের জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল ও আন্তঃউপজেলা প্রমীলা ফুটবলের খেলাগুলো ক্রীড়ামোদী দর্শকরা সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারবেন বলে আশা ব্যাক্ত করছি। টুর্নামেন্টের খেলাগুলো আমরা যেনো সুন্দর মতো পরিচালনা করতে পারি, সেজন্যে সকলের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি।
জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল ও প্রমীলা ফুটবল টুর্নামেন্ট নিয়ে জেলা ক্রীড়া অফিসার তারিকুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান,বর্তমান সরকার ক্রীড়া বান্ধব সরকার, এই সরকারের অন্যতম লক্ষ হলো তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মাদক থেকে দুরে রাখতে, জঙ্গীবাদ থেকে দূরে রাখতে, কিশোর গ্যাঙ্ক এর মতো খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখা। সেই কাজকে বাস্তবায়নের লক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা ক্রীড়া অফিস ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা সব সময় বিভিন্ন রকম প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে যাচ্ছে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখে ব্যপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শুরু করা হচ্ছে ২০ তম জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ, এ বছরের জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ বিগত সকল বছরের আয়োজনকে ছাড়িয়ে যাবে, কারন ইতিমধ্যে প্রতিটি উপজেলা তাদের দল গঠন করে প্রস্তুতি শুরু করেছে,প্রতিটি উপজেলায় পাঁচ জন বিদেশি খেলোয়াড় থাকায় খেলাটি আরও প্রাণবন্ত হবে।স্থানীয় খেলোয়াড়দের ও বিদেশী খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে একটি জাকজমকপূর্ণ আসরের আয়োজন হতে যাচ্ছে। সকল উপজেলার লক্ষ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ঘড়ে তোলা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ক্রীড়া অফিস এ টুনার্মেন্ট সফল করার লক্ষে সব গুলো উপকমিটির সাথে আলোচনা করে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এই বছর প্রথম বারের মতো আন্ত উপজেলা প্রমিলা ফুটবল এর আয়োজন করা হয়েছে। কারন চাঁদপুর জেলার প্রমিলা ফুটবল অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বর্তমানে জেলার এক জন বালিকা মহিলা ফুটবল দলে রয়েছে, দুই জন বালিকা বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্যাম্পে রয়েছে। বাংলাদেশ প্রমিলা ফুটবলে অনেক দুর এগিয়ে গেছে কারন বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে শ্রেষ্ঠ, চাদপুর জেলার ভালো প্রমিলা ফুটবল খেলোয়াড়র রয়েছে , স্থানীয় ভালো খেলায়ার ও বিদেশি খেলোয়াড়দের সমন্বয়ের প্রতিটি দলের কম্বিনেশন ভালো হবে যার ফলশ্রুতিতে প্রতিটি উপজেলার দলগুলো অনেক শক্তি শালী হবে,চাঁদপুর জেলায় ভালো মানের অনেক প্রমিলা ফুটবলার আছে, এধরনের বড় আসরে খেলার মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতে বড় বড় টুনার্মেন্টে ভালো করবে।আমরা আশা করছি এই জেলা প্রশাসক গোল্ড কাপ ও আন্ত উপজেলা প্রমিলা ফুটবল এর মধ্যে দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে আবারো ফুটবলের জাগরণ সৃষ্টি হবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল উপ-কমিটির সম্পাদক ও ক্রীড়া সংগঠক আলহাজ¦ শাহির হোসেন পাটওয়ারীর সাথে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা প্রমীলা ফুটবল ও ২০ তম জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট সমন্ধে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা আশা করছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যাতিত কোন অবস্থাতেই টুর্নামেন্টের খেলা বন্ধ থাকবে না । আমরা খেলার জন্য মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। একদিকে মাঠের সকল কিছু ঠিক করা হলেও পরর্বতীতে আবার ঘনঘন বৃষ্টি হওয়ার কারনে মাঠে পানি জমে যাচ্ছে। তবে আমার বিশেষ অনুরোধ থাকবে এই টুর্নামেন্টের খেলাগুলো চলাকালীন সময়ে ক্রীড়ামোদী দর্শকরা যেনো মাঠে এসে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখে এবং খেলোয়াড়দেরকে উৎসাহ প্রদান করেন।
এ বছরের জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ বিগত সকল বছরের আয়োজনকে ছাড়িয়ে যাবে। কারণ, ইতিমধ্যে প্রতিটি উপজেলা তাদের সম্ভাব্য দল গঠন করে প্রস্তুতি শুরু করেছে। সকল উপজেলার লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ঘরে তোলা।
বাংলাদেশ প্রমীলা ফুটবলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কারণ, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে শ্রেষ্ঠ। চাঁদপুর জেলার ভালো প্রমীলা ফুটবল খেলোয়াড়রা বিভিন্ন উপজেলার হয়ে এবার মাঠে নামবে। স্থানীয় ভালো খেলায়াড় ও বিদেশী খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে প্রতিটি দলের কম্বিনেশন ভালো হবে। যার ফলস্বরূপ প্রতিটি উপজেলার দলগুলো অনেক শক্তিশালী হবে। চাঁদপুর জেলায় ভালো মানের অনেক প্রমীলা ফুটবলার আছে। এ ধরনের বড় আসরে খেলার মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতে বড় বড় টুর্নামেন্টে ভালো করবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী কমিটির সদস্য ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ক্রীড়া সংগঠক ও সাংবাদিক নুরুন্নবী নোমানের সাথে এ প্রতিবেদকের আলাপকালে তিনি জানান, টুর্নামেন্টে খেলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ইতিমধ্যে দলের খেলোয়াড়দেও সাথে আমাদেও আলোচনা অবহ্যত রয়েছে। স্থানীয় ও বহিরাগত ভালো খেলোয়াড় নিয়ে এবার আমরা মাঠে নামবো দলকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য। দলের সকল খেলোয়াড়দেও মধ্যে অনেক আন্তরিকতা রয়েছে। আমরা প্রমীলা দল গঠনের ক্ষেত্রে ও চেষ্টা করছি ভালো দল গঠন করার জন্য। আশা করি যেভাবে দলগঠনের প্রস্তুতি নিয়েছি এবং উপজেলার সকল পর্যায়ের সকলের সহযোগিতা পাচ্ছি, এবারো আমাদের উপজেলা জেলা পর্যায়ের শিরোপা জয়লাভ করবে এবং দর্শকরা ফরিদগঞ্জের খেলা দেখে উৎসাহ পাবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে নিয়মিত খেলা দেখতে আসা বেশ কয়েকজন ক্রীড়ামোদী দর্শকদের সাথে এ প্রতিবেদকের আলাপকালে তারা জানায় অনেক ঢাক ঢোল পিঠিয়ে জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। কিন্তু খেলা দেখতে যখন আমরা মাঠে আসি তখন দেখতে পাই টুর্নামেনেনট অংশ নেয়া দলের খেলোয়াড়দেও কারো ড্রেস ঠিকমতো থাকলেও মোজা ও সটপেন্ট এক কালারের থাকে না। বিশেষ করে হাজীগঞ্জ ও মতলব দক্ষিনের খেলার সময় দেখা যায় যে বেশ কয়েকটি ফুটবল টুর্নামেন্টে তারা ঠিকমতো দলগঠন করে মাঠেও নামেনি এবং তাদের জার্সি ও খেলার অনান্য জিনিস ঠিকমতো না নিয়েই মাঠে আসে। এবারের বেলায় যেনো এ উপজেলাগুলো এমন ধরনের কোন পুনরাবিত্তি না
ঘটায় আমরা ক্রীড়ামোদী দর্শকরা আশা করছি।
টৃর্নামেন্টে উদ্ধোধন ও খেলা নিয়ে ক্রীড়া সংগঠক কয়েকজনের সাথে এ প্রতিবেদকের আলাপকালে তারা জানান, মাঝে মাঝে যদিও জেলা ক্রীড়া সংস্থা খেলাধুলার আয়োজন করে থাক।ে সে আয়োজনে দলগুলো অংশগ্রহন না করার অনেক কারনগুলোর মধ্যে প্রথমত আমরা যা শুনছি তা হলো স্থানীয় খেলোয়াড়রা ম্যাচ প্রতি ১৫ হাজার টাকা কওে চেয়েছেন। আবার অনেক ক্লাবের কর্মকতারা বাধ্য হয়ে স্থানীয় কোটায় অনেক ফুটবলারদেও ১৫ হাজার টাকা করেও দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এরমধ্যে স্টেডিয়াম লাগোয়া অনেক ফুটবলারই তারা যে উপজেলাতে খেলবে তাদেও কাছ থেকে অগ্রিম টাকা ও নিয়ে গেছে। আমাদেও কথা হলো মাঠে আগে নিয়মিতভাবে খেলাধুলার আয়োজন করা হউক তাহলে ক্রীড়ামোদী দর্শক আসবে খেলা দেখার জন্য। টুর্নামেন্ট ও লীগে জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে যে পরিমান ম্যাচ ফ্রি দেয়া হয় তাতে করে অংশনেয়া দলগুলোর খেলোয়াড়দেও খরচ ও অনন্য বিষয় চালাতে তাদেও অনেক হিমশিম খেতে হয়।
টুর্নামেন্টে অংশ নেয়াা কয়েকটি উপজেলার খেলা হলেই ছুটে আসেন মাঠে এমন অনেক ক্রীড়ামোদী দর্শক অনেকটা আক্ষেপের সাথেই এ প্রতিবেদককে বলেন, খেলা কিন্তু সকলের জন্যই। আর জেলার প্রত্যেক ্উপজেলাই চায় খেলার মাঠ একটু সুশৃংখলভাবে চলুক। দেখা যায় কোন কোন উপজেলার খেলার দিন মাঠে খেলোয়াড় ও আউট কর্মকতাদেও উপস্থিতি বেশি। আবার কোন কোন উপজেলার খেলার সময় কাউকেই ঢুকতে দেয়না। খেলার সময় দেখা যায় কখনো কোন দলের সাথে ছিলো , কিংবা কোন দিন কোন মাঠেও খেলেননি শুধু মাত্র আওয়ামীলীগের শ্রমিক রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন তারাও স্টেডিয়ামের কর্মকতা হিসেবে মাঠে প্রবেশ করছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বরত উদ্ধতন কয়েকজন কর্মকতাকে নাকি মাসকাবারি টাকা হাওলাত দেয়ার বিনিময়ে। ওই ভদ্রলোকটি প্রতিদিনই মাঠে দেখা যায় কিন্তু বেশ কয়েকটি উপজেলার সাবেক খেলোয়াড় ও দলের কর্মকতাদেরকে আয়োজকরা খেলা চলাকালীন সময়ে প্রবেশ করতে দেন না। এরকম বৈষম্য আচরন থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ফম/এমএমএ/চৌইই/