চাঁদপুর: গণসঙ্গীতের অঙ্গীকার- সাম্য সম্প্রীতির বাংলাদেশ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে চারদিন ব্যাপী ৩য় জাতীয় গণসঙ্গীত উৎসব। গত ২৯ মার্চ গণসঙ্গীত উৎসবের আনুসাঙ্গিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী। আজ পহেলা এপ্রিল উৎসবের সমাপনী দিবসে চাঁদপুর সুপ্তসুর সঙ্গীত একাডেমীর শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবে।
বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ৩য় জাতীয় গণসঙ্গীত উৎসবের উদ্বোধনী দিন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সমন্বয়কারী মানজার চৌধুরী সুইটের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গণসঙ্গীত উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফকির সিরাজুল ইসলাম।
পহেলা এপ্রিল উৎসবের সমাপনী দিবসে চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী সপ্তসুর সঙ্গীত একাডেমির শিল্পীরা কবি নজরুল ইসলামের বেশ কয়েকটি সাম্যের গান পরিবেশন করবেন। এছাড়াও সপ্তসুর সঙ্গীত একাডেমি অধ্যক্ষ বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী রূপালী চম্পক ছাড়াও একক সঙ্গীত পরিবেশন করবেন ফকির সাহাবুদ্দিন, আরিফ রহমান, সমর বড়ুয়া, রোজবাবু।
চাঁদপুরের সপ্তসুর সঙ্গীত একডেমির অধ্যক্ষ রূপালী চম্পকের নেতৃত্বে কবি নজরুল ইসলামের বেশ কয়েকটি সাম্যের গান পরিবেশন করবেন রূপালী চম্পক, মানসী চক্রবর্তী, তৃষ্ণা বনিক, তৃষা পোদ্দার (তৃনা), তাসিন শোভান বর্ষা, পূজা সাহা, অনন্তা চক্রবর্তী বাঁধন, অর্পিতা সিংহ রায়, পূর্ণতা প্রাপ্তি, মোর্শেদ খান জয়, লিটন মজুমদার, মানিষ সাহা ও শরীফ চৌধুরী। এছাড়াও ঐ দিন ঢাকা থেকে ৬টি, নোয়াখালি থেকে ১টি, খুলনা থেকে ১টি, রাঙ্গামাটি থেকে ১টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিবে। এদিকে উৎসবকে ঘিরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে এখন উৎসবমুখোর পরিবেশ বিরাজ করছে। ৩য় জাতীয় গণসঙ্গীত উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে জননন্দিত সঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরের প্রতি।
ফম/এমএমএ/